হাড় ক্ষয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলেরই হতে পারে। ছবি: সংগৃহীত।
বয়স বাড়লে হাড়ের জোর কমে। রক্তে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালশিয়াম, ভিটামিন ডি, কে, ফসফরাসের মতো উপাদান না থাকলেও হাড় ক্ষয়ে যেতে পারে। চিকিৎসা পরিভাষায় যাকে বলা হয় অস্টিয়োপেরেসিস। চিকিৎসকেরা বলছেন, মহিলাদের মধ্যে এই অস্টিয়োপোরোসিসের সমস্যা বেশি। কারণ, ঋতুবন্ধের পর শরীরে ইস্ট্রোজেন হরমোনের অভাব হলে হাড়ের ক্যালশিয়াম জমার পরিমাণ কমতে শুরু করে। তবে এ কথাও ঠিক যে, বেশি বয়সে হাড়ের ক্যালশিয়াম কমে গিয়ে হাড় ক্ষয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলেরই হতে পারে। সবচেয়ে বড় সমস্যা হল এই রোগটি আসে নিঃশব্দে। পড়ে গিয়ে হাড় ভাঙলে তখন টের পাওয়া যায়। হাড়ের ঘনত্ব কমে যাওয়া বা হাড় ক্ষয়ে যাওয়ার সমস্যা যদি বাড়াবাড়ি আকার ধারণ করে, তা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে অবশ্যই ওষুধ খেতে হয়। তবে, এই ধরনের সমস্যা শুরু হওয়ার আগে থেকেই যদি রোজ কয়েকটি আসন অভ্যাস করতে পারেন, তা হলে হাড় ক্ষয়ে যাওয়ার প্রবণতা খানিকটা হলেও শ্লথ করা যায়।
হাড়ের গঠন, ঘনত্ব ভাল রাখতে কোন তিন আসন রোজ অভ্যাস করবেন?
১) বীরভদ্রাসন:
ছবি: সংগৃহীত।
দুই পা দু’দিকে পর্যাপ্ত দূরত্বে ছড়িয়ে দিয়ে সোজা হয়ে দাঁড়ান। দু’হাত কান বরাবর উপরের দিকে তুলে নমস্কারের ভঙ্গিতে দাঁড়ান। হাত যেন একদম সোজা ও আকাশের দিকে মুখ করা থাকে। এর পর এক দিকে ঘুরে সেই দিকের হাঁটু ধীরে ধীরে ভাঁজ করুন। পিছনের পা ও শরীর সোজা রেখে উপরের দিকে তাকান। ২০ সেকেন্ড স্থির হয়ে থেকে কুড়ি সেকেন্ড বিশ্রাম নিন, তার পর অন্য দিকে আবার করুন ২০ সেকেন্ডের জন্য।
২) বৃক্ষাসন:
ছবি: সংগৃহীত।
সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে নিজের দু’টি হাত নমস্কারের ভঙ্গিতে বুকের কাছে আনুন। তার পর শরীরের ভারসাম্য রেখে নিজের ডান পায়ের হাঁটু ভাজ করে পায়ের পাতাটি বাঁ পায়ের ঊরুর উপর আনুন। ধীরে ধীরে মেরুদণ্ড সোজা রেখে নিজের হাত নমস্কারের ভঙ্গিতে সমান ভবে মাথার উপর নিয়ে যান। ৩০ সেকেন্ড এই ভঙ্গিতে এক পায়ের উপর দাঁড়িয়ে থাকুন। স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসুন ও পা বদল করে নিয়ে পুনরায় করুন। খুব সহজ এই আসনটি ছোট থেকে বড় সকলেই নিয়মিত করতে পারেন।
৩) সেতুবন্ধনাসন:
ছবি: সংগৃহীত।
প্রথমে মাটিতে চিত হয়ে শুয়ে পড়ুন। হাঁটু ভাঁজ করে পা দু’টি নিতম্বের কাছে রাখুন। এ বার ধীরে ধীরে মাটি থেকে কোমর তুলে ধরুন। দুই হাত টান টান করে, গোড়ালি স্পর্শ করার চেষ্টা করুন। এই অবস্থানে ১০ সেকেন্ড থাকুন। ৪ থেকে ৫ বার এই ভাবে অভ্যাস করুন।