মধুর গুণাগুণ। ছবি: সংগৃহীত।
মধুর গুণ সম্পর্কে সকলেই জানেন। সকালে ঈষদুষ্ণ জলে লেবুর রসের সঙ্গে দু’ফোঁটা মধু বিপাকহার নিয়ন্ত্রণ করে। তা ছাড়া সর্দি-কাশি হলে চায়ের সঙ্গে, দুধের সঙ্গে এক চা চামচ মধু খেলেও উপকার পাওয়া যায়। সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, মধুতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিহিস্টামিন, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে। এই সমস্ত উপাদানই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। তাই আবহাওয়া পরিবর্তনের সময়ে মধু কিন্তু ‘গেম চেঞ্জার’ হয়ে দাঁড়াতেই পারে।
ঠান্ডা থেকে গরম। আবার, গরম থেকে ঠান্ডা। কিংবা দিনে গরম, রাতে ঠান্ডা। কখনও আবার মেঘভাঙা বৃষ্টি। আবহাওয়ার এই খামখেয়ালি স্বভাবের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে শরীরের সমস্যা হয়। ফলে ভাইরাস, ব্যাক্টেরিয়া বাহিত নানা ধরনের রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। তা ছাড়া এই সময়ে বাতাসে পোলেন, অ্যালার্জেনের মতো উপাদানও বাড়তে থাকে। যার ফলে শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা হওয়া অস্বাভাবিক নয়। অনেকেরই এই সময়ে নাক, কান, গলা সুড়সুড় করে। সকালে ঘুম থেকে ওঠা মাত্রই ক্রমাগত হাঁচি শুরু হয়। এই ধরনের সমস্যা থেকে রেহাই পেতে সাধারণত চিকিৎসকের পরামর্শ মতো অ্যান্টি-অ্যালার্জিক ওষুধ খেয়ে থাকেন। তবে, পুষ্টিবিদেরা বলছেন, ঘরোয়া টোটকা হিসেবে মধুও মন্দ নয়। তবে তা খাঁটি হওয়া প্রয়োজন।
মধু শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। ছবি: সংগৃহীত।
মধু খাঁটি কি না, বুঝবেন কী করে?
বাজারে বিভিন্ন সংস্থার মধু কিনতে পাওয়া যায়। সকলেই দাবি করেন, তাঁদের মধুতে কোনও রকম রাসায়নিক মেশানো নেই। মধু খাঁটি কি না, খালি চোখে তা বোঝা মুশকিল। তবে, কেনার আগে শিশির গায়ে খাদ্য সুরক্ষা দফতরের শংসাপত্রের ছাপ আছে কি না দেখে নিতে হবে।