কোমর, পিঠের ব্যথা হচ্ছে কেন? ছবি: সংগৃহীত।
ঘুম থেকে উঠে কোমর নিচু করতে গিয়ে হঠাৎ বিপত্তি! মাটিতে বসলে উঠতে পারেন না। আবার উঠলে, বসতে পারেন না। এক টানা দীর্ঘ ক্ষণ কাজ করতে হয়। বাড়ি ফিরে অনেক ক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে রান্নাও করতে হয়। ফলে গোটা শরীরের ভার গিয়ে পড়ে কোমর, হাঁটু এবং দুটি পায়ের উপর। রাতে বিছানায় পিঠ ঠেকালে তখন মালুম পাওয়া যায়। তবে প্রশিক্ষকেরা বলছেন, সমাধানের আগে কোমর-পিঠে ব্যথা কেন হচ্ছে তা খুঁজে বার করতে হবে। এই ধরনের সমস্যা কিন্তু স্নায়ুতে চোট পেলে বা হাড় ক্ষয়ে গেলেও হতে পারে। ভারী কিছু তুলতে গিয়ে কোনও কারণে পেশিতে চোট পেলেও এই ধরনের সমস্যা হয়। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ব্যথা কমানোর হালকা ডোজ়ের কোনও ওষুধ খেয়ে নিয়মিত কয়েকটি আসন অভ্যাস করতে পারেন।
১) অধোমুখো শবাসন:
প্রথমে মাটির দিকে মুখ করে শুয়ে পড়ুন। তার পর মাটি থেকে কোমর উঁচু করে তুলে ধরুন। পা এবং হাতের উপর ভর দিয়ে রাখুন। মাটির সঙ্গে দেহের অবস্থান এমন ভাবে থাকবে, যেন দেখতে ত্রিভুজের মতো লাগে।
২) মার্জারাসন:
প্রথমে মাটিতে দুই পা এবং হাতের উপর ভর দিয়ে বিড়ালের মতো ভঙ্গি করুন। এর পর এক বার পিঠ ফুলিয়ে মাথা নিচু করে শ্বাস নিন, আবার পেট ঢুকিয়ে শ্বাস ছাড়ুন। এই আসন অভ্যাস করুন ৫ বার করে অন্ততপক্ষে ৫ মিনিট।
৩) সেতু বন্ধনাসন:
প্রথমে মাটিতে চিত হয়ে শুয়ে পড়ুন। হাঁটু ভাঁজ করে পা দুটো নিতম্বের কাছে রাখুন। এ বার ধীরে ধীরে মাটি থেকে কোমর তুলে ধরুন। এ বার দুই হাত টান টান করে, গোড়ালি স্পর্শ করার চেষ্টা করুন। এই অবস্থানে ১০ সেকেন্ড থাকুন। তিন থেকে চার বার এই ভাবে অভ্যাস করুন।
৪) ত্রিকোণাসন:
ছবি: সংগৃহীত।
প্রথমে দু’টি পা ফাঁক করে সোজা হয়ে দাঁড়াতে হবে। হাত দু’টি দু’পাশে লম্বা করে দিন। এ বার বাঁ পাশে শরীরকে বেঁকিয়ে বাঁ হাত দিয়ে বাঁ পায়ের আঙুলকে স্পর্শ করুন। ডান হাতটি উপরের দিকে একেবারে সোজা করে রাখতে হবে। হাঁটু দু’টি ভাঙা চলবে না। দশ অবধি গুনুন। এ বার দু’টি হাত না ভেঙে সোজা হয়ে দাঁড়ান। একই ভাবে ডান হাত দিয়ে ডান পায়ের আঙুল স্পর্শ করুন। তিন বার এই আসনটি করুন।
৫) মৎস্যাসন:
ম্যাটের উপরে টান টান হয়ে শুয়ে দু’পা এক জায়গায় করে নিতে হবে। দু’পাশে টান টান করে রাখতে হবে দুই হাত। তার পরে চোখ বুজে ফেলতে হবে। শ্বাস-প্রশ্বাস থাকবে স্বাভাবিক। এ বার ধীরে ধীরে ধনুকের মতো করে বেঁকিয়ে ফেলতে হবে পিঠ। কাঁধও উঠে আসবে। শরীরের ভার হাতের কনুইয়ের পাশাপাশি থাকবে মাথা ও নিতম্বে। বুক উপরের দিকে উঠে আসবে তবে। সবটা ঠিকমতো করলে অনেকটাই মাছের মতো দেখাবে। স্বাভাবিক ভাবেই চলতে থাকবে শ্বাস-প্রশ্বাস।