ধনুরাসন। ছবি: সংগৃহীত।
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে শরীরচর্চার কোনও বিকল্প নেই। জিমে না গিয়ে বাড়িতেও যদি শরীরচর্চার অভ্যাস বজায় রাখতে পারেন, তাহলে দীর্ঘ দিন সুস্থ থাকা সম্ভব। শরীরচর্চার অভ্যাস যে শুধু ছিপছিপে থাকতে সাহায্য করে, তা কিন্তু নয়। বরং শরীরচর্চা একাধিক রোগ থেকেও দূরে থাকতে সাহায্য করে। সাম্প্রতিক একটি গবেষণা জানাচ্ছে, নিয়মিত ব্যায়াম করলে স্ট্রোকের ঝুঁকিও কমে। হৃদ্যন্ত্র ভাল রাখতে এবং হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমাতেও ব্যায়ামের উপর চোখ বন্ধ করে ভরসা রাখা যায়।
ভুজঙ্গাসন। ছবি: সংগৃহীত।
ধনুরাসন
পেট উপুড় করে শুয়ে পড়ুন। তার পর হাঁটু ভাঁজ করে পায়ের পাতা যতখানি সম্ভব পিঠের উপর নিয়ে আসুন। এ বার হাত দুটো পিছনে নিয়ে গিয়ে গোড়ালির উপর শক্ত করে চেপে ধরুন। চেষ্টা করুন পা দুটো মাথার কাছাকাছি নিয়ে আসতে। এই ভঙ্গিতে মেঝে থেকে বুক হাঁটু এবং ঊরু উঠে আসবে। তলপেট এবং পেট মেঝেতে রেখে উপরের দিকে তাকান। এই ভঙ্গিতে স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ে ২০ থেকে ৩০ সেকেন্ড থাকুন। তার পর পূর্বের ভঙ্গিতে ফিরে যান। এই আসন বার তিনেক করতে পারেন।
ভুজঙ্গাসন
মেঝেতে উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন। এ বার হাতের তালু মেঝের উপর ভর দিয়ে পাঁজরের দুই পাশে রাখুন। এর পর কোমর থেকে পা পর্যন্ত মাটিতে রেখে হাতের তালুর উপর ভর দিয়ে বাকি শরীরটা ধীরে ধীরে উপরের দিতে তুলুন। এর পর মাথা বেঁকিয়ে উপরের দিকে তাকান। এই ভঙ্গিতে ২০-৩০ সেকেন্ড থাকার পর পূর্বের অবস্থায় ফিরে যান। প্রথম দিকে এই আসন তিন বার করুন। পরবর্তীকালে ৫-৬ বারও করতে পারেন।
পদহস্তাসন
এই আসনটি করার সময় সোজা হয়ে দাঁড়ান। তার পর আস্তে আস্তে পা দুটো সামান্য ফাঁক করুন। ভাল করে শ্বাস নিতে নিতে হাত দুটো উপরের দিকে তুলুন। এ বার আস্তে আস্তে শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে কোমর থেকে শরীরের উপরের অংশ সামনের দিকে ঝুঁকিয়ে দিন। হাতের সাহায্যে গোড়ালি স্পর্শ করুন। খেয়াল রাখবেন হাঁটু যেন না ভাঙে। ২০-৩০ সেকেন্ড এই অবস্থায় থাকার পর আগের অবস্থায় ফিরে যান।