আর্থরাইটিসের ব্যথা কমায় যোগাসন। ছবি:সংগৃহীত।
আত্মীয়স্বজন, চেনা-পরিচিত, সহকর্মী, পরিবারের বয়স্ক সদস্যের অনেকেই আর্থ্রাইটিসের রোগী। ইদানীং কমবয়সিদের মধ্যেও আর্থ্রাইটিস হানা দিচ্ছে। ৩০ পেরোলেই আর্থ্রাইটিসের ব্যথায় কাবু হচ্ছেন অনেকেই। তবে আধুনিক জীবনযাপন এই রোগের নেপথ্যের একটা বড় কারণ। হাঁটুর ব্যথায় চলাফেরা প্রায় বন্ধ অনেকেরই। আর্থ্রাইটিসের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে বদল আনতে হবে জীবনধারায়। বাইরের খাবারদাবার পুরোপুপি বন্ধ করে দিতে হবে। সেই সঙ্গে নিয়মিত শরীরচর্চার অভ্যাসও বজায় রাখতে হবে। কারণ এই রোগের ক্ষেত্রে শরীরচর্চার অভ্যাস থাকা অত্যন্ত জরুরি। আর্থ্রাইটিস ধরা পড়ার পর অনেকেই জিমে ভর্তি হন। তবে জিমে গিয়ে যে শারীরিক কসরত হয়, আর্থ্রাইটিসের ক্ষেত্রে ততটাও প্রয়োজন নেই। তার চেয়ে বাড়িতেই কয়েকটি যোগাসন যদি নিয়মিত করতে পারেন, উপকার পাবেন।
তাড়াসন
সোজা হয়ে দাঁড়ান। পায়ের পাতার মধ্যে দুই ইঞ্চি দূরত্ব রাখুন। শ্বাস নিন। হাত দুটোকে উপরে তুলে কাঁধের সমান সমান নিয়ে যান। এ বার আঙুল দিয়ে হাত দুটোকে জড়ান। হাতের তালু রাখুন বাইরের দিকে। এ বার শ্বাস নিতে নিতে মাথার উপর হাত দুটো নিয়ে যান। পায়ের গোড়ালিগুলো মাটি থেকে উপরে তুলুন। পায়ের পাতার উপর শরীরের ভারসাম্য রাখুন। এই অবস্থায় ৩ থেকে ১০ বার শ্বাস নিন। এ বার গোড়ালি নীচে নিয়ে আসুন। শ্বাস ছেড়ে আগের অবস্থায় ফিরে আসুন। দিনে দু’বার করলে নিয়ন্ত্রণে থাকবে বাতের ব্যথা।
পশ্চিমোত্তাসন
সামনের দিকে পা ছড়িয়ে বসুন। পায়ের পাতার অভিমুখ রাখুন আপনার দিকে। শিরদাঁড়া সোজা রাখুন। এ বার শ্বাস নিন। দুটো হাত একসঙ্গে মাথার উপর সোজা করে তুলুন। এর পরে শ্বাস ছাড়ুন। এ বার আস্তে আস্তে সামনের দিকে ঝুঁকুন। হাত দুটো গোড়ালি পর্যন্ত পৌঁছলে একটির কব্জি দিয়ে আর একটি ধরে রাখুন। মাথা রাখুন হাঁটুতে। এর পর শ্বাস ছাড়ুন। খেয়াল রাখুন শিরদাঁড়া যেন সামনের দিকে প্রসারিত থাকে। শ্বাস নিন। এ বার আগের ভঙ্গিতে ফিরে আসুন। নিয়ম করে এটি করলে ব্যথা কমবে।
শবাসন
সবচেয়ে সহজ আসন মনে হলেও শবাসন করতে মানসিক স্থিরতার প্রয়োজন। চিত হয়ে শুয়ে পা দু’টি লম্বা করে ছড়িয়ে দিন। দু’টি হাত শরীরের দু’পাশে শরীর সংলগ্ন রাখুন। হাতের তালু দু’টি শিথিল করে রাখুন। চোখ বন্ধ করুন। বেশ কিছু ক্ষণ এই ভাবে থাকার পর ধীরে ধীরে উঠে বসুন। এতে মন এবং মস্তিষ্ক দুটোই শান্ত থাকবে।