কিডনি রোগের ঝুঁকি কমায় কিছু যোগাসন। ছবি: সংগৃহীত।
হার্টের অসুখের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে কিডনির রোগও। পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, প্রতি বছর প্রায় কয়েক লক্ষ মানুষ কিডনি সংক্রান্ত সমস্যায় আক্রান্ত হন। কিডনি শরীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এমনিতে শরীরের অন্দরে কোনও সমস্যা তৈরি হলে তা সহজে ধরা যায় না। কিডনির ক্ষেত্রে এই আশঙ্কা বেশি। অনেক ক্ষেত্রেই একটি কিডনি বিকল হয়ে গেলেও কাজ চলতে থাকে। ফলে ক্ষতির আঁচ বাইরে থেকে পাওয়া যায় না। কিডনিতে পাথর হওয়া একটি সাধারণ সমস্যা। এ ছাড়াও কিডনিতে আরও অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে। কিডনি সংক্রান্ত সমস্যার উপসর্গগুলি এত মৃদু হয় যে, সব সময় বোঝা যায় না। তাই আগে থেকেই কিডনির খেয়াল রাখতে হবে। তার জন্য খাওয়াদাওয়া নিয়ম মেনে করতে হবে তো বটেই। সেই সঙ্গে ভরসা রাখতে হবে কিছু যোগাসনেও। শরীরচর্চা শুধু ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে তা নয়। কিছু যোগাসন কিডনিরও খেয়াল রাখে।
পশ্চিমোত্তাসন
এই আসনটি করতে সবার প্রথমে চিত হয়ে শুয়ে দু’হাত মাথার দু’পাশে উপরের দিকে রাখুন। পা দু’টি একসঙ্গে জোড়া রাখুন। এ বার আস্তে আস্তে উঠে বসে সামনে ঝুঁকে দু’হাত দিয়ে দুই পায়ের বুড়ো আঙুল স্পর্শ করুন। কপাল দু’পায়ে ঠেকান। হাঁটু ভাঁজ না করে পেট ও বুক ঊরুতে ঠেকান। কিছু ক্ষণ এই ভঙ্গিতে থাকার পর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসুন।
পদহস্তাসন
সোজা হয়ে পা দু’টি একটু ছড়িয়ে দাঁড়ান। ভাল করে শ্বাস নিয়ে নিন। এ বার শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে কোমর থেকে শরীরের সামনের অংশ মেঝের দিকে ঝুঁকিয়ে দিন। হাঁটু না ভেঙে হাতের সাহায্যে গোড়ালি স্পর্শ করুন। এই ভঙ্গিতে ২০ সেকেন্ড থাকুন।
নৌকাসন
এই আসনটি করতে প্রথমে চিত হয়ে শুয়ে পড়ুন। এর পর শ্বাস নিতে নিতে নিতম্ব ও কোমরে ভর দিয়ে দেহের উপরের অংশ ও পা একই সঙ্গে উপরের দিকে তুলুন। আপনার বাহু ও পায়ের পাতা একই দিকে থাকবে। নৌকা বা ইংরেজি এল আকৃতির মতো অবস্থায় থাকুন ১০ থেকে ৩০ সেকেন্ড। ধীরে ধীরে নিশ্বাস ছাড়তে ছাড়তে প্রথম অবস্থায় ফিরে আসুন। প্রতি দিন ৩-৪ বার এই আসনটি করবেন।