রুটি খাওয়ারও নিয়ম আছে। ছবি: সংগৃহীত।
ভাত খেলে ওজন বেড়ে যেতে পারে। সেই ভয়ে ভাতের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন অনেকেই। বদলে ভরসা রাখেন ওট্স, ডালিয়া, মিলেটের উপর। তবে ওজন ঝরানোর ক্ষেত্রে অনেকের কাছেই সবচেয়ে ভরসাযোগ্য খাবার হল রুটি। পারলে তিন বেলা রুটি খান অনেকে। ভাতের বিকল্প হিসাবে রুটি কার্বোহাইড্রেটের ঘাটতি মেটায় শরীরে।
তবে রুটিতে যে শুধু কার্বোহাইড্রেট আছে, তা কিন্তু নয়। বরং রুটিতে রয়েছে প্রোটিন, ফাইবার, মিনারেলসও। একটা রুটিতে থাকে ১৫ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ৩ গ্রাম প্রোটিন এবং ০.৪ গ্রাম ফাইবার। ওজন কমানোর ডায়েটে থাকলে রুটি খেতে পারেন চোখ বন্ধ করে। তবে রুটিতে যে হেতু কার্বোহাইড্রেট আছে, ফলে বুঝেশুনে, পরিমাণ মতো খেতে পারেন।
অনেকেই দিনে ২৫০ গ্রাম কার্বোহাইড্রেটের বেশি খান না। সে ক্ষেত্রে সারা দিনের খাবারে রুটি রাখতে পারেন। অসুবিধা হবে না। তবে রুটি খাওয়ার পরিমাণেও রাশ টানতে হবে। ওজন কমবে কি না তা নির্ভর করছে কখন রুটি খাচ্ছেন এবং কতগুলি রুটি খাচ্ছেন।
পুষ্টিবিদদের মতে, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সব সময় সকালের দিকে রুটি খেয়ে নেওয়া ভাল। তা হলে রুটিতে থাকা কার্বোহাইড্রেট দ্রুত হজম হবে। বিকাল ৪টের পর কার্বোহাইড্রেট না খাওয়াই শ্রেয়। কতগুলি রুটি খাবেন, তা নিয়ে অবশ্য কোনও বাধাধরা নিয়ম নেই। তবে মাথায় রাখতে হবে, রুটি যত বেশি খাবেন শরীরে কার্বোহাইড্রেটও তত পরিমাণে প্রবেশ করবে। তাই সকালে রুটি খেলে দুটো থেকে তিনটে খেতে পারেন। তবে দুপুরের দিকে দুটোর বেশি না খেলেই ভাল।