—প্রতীকী ছবি।
দীর্ঘ ক্ষণ এক ভাবে কাজ করলে একটা সময়ের পর একঘেয়েমি আসা স্বাভাবিক। তখন আর কাজ করতে ইচ্ছা করে না। কাজের গতিও কমে যায়। দিনের শুরুর চনমনে ভাবটা তলানিতে গিয়ে ঠেকে। ক্লান্ত হয়ে পড়ে শরীর, মন। তখন নিজেকে চাঙ্গা করে তুলতে চকোলেট, চিপ্স, কুকিজে ভরসা রাখেন অনেকেই। এ ধরনের সুস্বাদু খাবার সাময়িক ভাবে শরীর চাঙ্গা করে তোলে হয়তো, কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী কোনও সমাধান পাওয়া যায় না। সেই সঙ্গে প্রতিনিয়ত এ ধরনের খাবার খাওয়ার ফলে ওজন বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তার চেয়ে ক্লান্তি দূর করতে এমন কিছু খাবার খান, যেগুলি কাজের গতি বাড়ানোর পাশাপাশি শরীরও সুস্থ রাখে।
—প্রতীকী ছবি।
কাঠবাদাম
টুকটাক মুখ চালাতে স্বাস্থ্যকর খাবার হতে পারে কাঠবাদাম। এই বাদামে থাকা উপকারী ফ্যাট শরীর চনমনে করে তুলতে সাহায্য করে। কাঠবাদামে প্রোটিনের পরিমাণ অনেক বেশি। ফলে দীর্ঘ ক্ষণ পেট ভর্তি রাখতেও কাঠবাদাম খেতে পারেন।
কলা
কলা এমন একটি ফল, যা শরীর ভিতর থেকে চাঙ্গা রাখা। সেই কারণে দিনের শুরুর খাবারে একটি করে কলা রাখার কথা বলে থাকেন পুষ্টিবিদেরা। কলায় আছে কার্বোহাইড্রেট। সেই জন্য একটা কলা খেলে বহু ক্ষণ আর খিদে পায় না। ফলে বার বার খাবার খাওয়ার প্রবণতাও কমে।
মাখানা
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে মাখানা হতে পারে স্বাস্থ্যকর বিকল্প। মাখানায় পটাশিয়াম এবং সোডিয়ামের পরিমাণ অনেক বেশি। এই দু’টি উপাদান ক্লান্তি দূর করে শরীর চনমনে রাখতে সাহায্য করে। তাই চিপ্স, কুকিজের বদলে সঙ্গে রাখুন মাখানা।
আপেল
শরীরের চাঙ্গা রাখতে কফির চেয়ে আপেল বেশি কার্যকরী। পুষ্টিবিদেরাও তেমনটা বলে থাকেন। আপেলে রয়েছে ভরপুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, যা শরীরে শক্তি জোগায়। ক্লান্তি দূর করে। কাজের ফাঁকে খুব দুর্বল লাগলে আপেলে কামড় বসাতে পারেন।
কিশমিশ
ফাইবার-সমৃদ্ধ কিশমিশ শরীর ভিতর থেকে চাঙ্গা রাখে। কাজের গতি বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করে কিশমিশ। কাজের ফাঁকে মুখ চালাতে ইচ্ছা করলেই কিশমিশ খেতে পারেন। একঘেয়েমি কেটে যাবে। কাজেও মন ফিরবে।