—প্রতীকী ছবি।
অনেক চেষ্টা করেও ওজন কমছে না? ডায়েট করছেন, শরীরচর্চা করছেন, তা-ও ওজন কমার কোনও লক্ষণ নেই! কখন খাচ্ছেন সেটা খেয়াল রাখছেন কি? ওজন কমানোর সময় কী খাচ্ছেন সেটা খেয়াল রাখা যতটা জরুরি, ততটাই কখন খাচ্ছেন, সেটা নজর রাখাও। সারা দিনে অফিসের কাজ, বাড়ির কাজ সামলে দুপুরে ঠিকমতো খাওয়ার সুযোগ পান না অনেকেই। সে ক্ষেত্রে রাতের খাওয়ার উপরেই বেশি গুরুত্ব দেন অনেকে। যা ভাল-মন্দ খাবার সবই রাতের জন্য বরাদ্দ থাকে। রাতে খাবার সময় কিছু ভুলের জন্যেও কিন্তু ওজন বেড়ে যায়। জেনে নিন ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে রাতে খাবার সময় কোন ভুলগুলি করলে চলবে না।
১) কখন খাচ্ছেন: এমনিতে দিনের কোন সময় খাচ্ছেন, তার সঙ্গে ওজন কমা-বাড়ার কোনও সরাসরি যোগযোগ নেই। তবে রাতের খাওয়াটা সাধারণত তাড়াতাড়ি সেরে ফেলার উপদেশ দেন পুষ্টিবিদেরা। রাতে শুতে যাওয়ার অন্তত ঘণ্টা দুই আগে রাতের খাবার সেরে ফেলা উচিত। ভরপেট খেয়েই শুয়ে পড়লে, হজমের সমস্যা হতে পারে। তার চেয়ে খাওয়া শেষ করে একটু হাঁটাচলা করুন, বাড়ির অন্য কাজ করুন। তা হলে হজমেও সুবিধা হবে, আবার ঘুমও তাড়াতাড়ি আসবে, ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
২) না খেয়ে থাকা: ওজন কমানোর আশায় অনেকেই রাতের খাবার খান না। এতে মোটেই ওজন কমে না। রাতে না খেলে সকালে উঠে অনেক বেশি ক্লান্ত লাগে, তখন বেশি খেয়ে ফেলার প্রবণতা হয়। সারা রাত না খেয়ে সকালে অনেকটা খেয়ে ফেললে হজমের গোলমাল হয়, বিপাকহারও কমে যায়। এই প্রবণতা ওজন বাড়িয়ে দেয়।
—প্রতীকী ছবি।
৩) কী খাচ্ছেন: ওজন কমানোর জন্য ডায়েট করলে রাতে খুব বেশি ভারী খাওয়া উচিত নয়। রাতের খাবার হালকা হওয়াই ভাল। রাতে খুব ভারী খাবার খেলে হজম করতে অসুবিধা হয়। খাবার হজম না হলে বিপাকহারেও প্রভাব পড়ে। তাই ওজন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও বাড়ে।
৪) দুপুর আর রাতের খাবারের মাঝে বেশি ফারাক নয়: যদি দুপুরের খাবার আর রাতের খাবারের মাঝে অনেক ক্ষণ পেট খালি থাকে তা হলে খিদে অনেক বেড়ে যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে খিদের মুখে অনেকটা বেশি খাবার খেয়ে ফেলার একটা সম্ভাবনা থাকে। তা হলে আপনার ওজন কমানোর রাস্তাও আরও কঠিন হয়ে উঠবে। তাই মাঝে টুকিটাকি স্বাস্থ্যকর স্ন্যাক্স খেতে হবে।
৫) রাত বাড়লে ভুলভাল খাওয়া: যত রাত হয়, তত সাধারণত অস্বাস্থ্যকর খাবারের দিকে মন যায় মানুষের। বেশি পরিমাণে তেল-নুন দেওয়া প্রসেস্ড ফুড খাওয়ার প্রবণতা বাড়ে। পিৎজ্জা-বার্গার অর্ডার করার ইচ্ছেও দ্বিগুণ হয়ে যায়। এমনকি মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছেও বেড়ে যায় অনেকটা। সে ক্ষেত্রে রাতে খুব বেশি ক্ষণ জেগে না থাকাই ভাল।