Thyroid Cancer

থাইরয়েড ক্যানসারের সঙ্গে যুদ্ধে জিতেছেন, মারণরোগের উপসর্গ নিয়ে মুখ খুললেন তরুণী

আমেরিকার বাসিন্দা ৩৫ বছর বয়সি ক্রিস্টিনা ম্যাকনাইট থাইরয়েড ক্যানসার জয়ী। এই রোগের কিছু প্রাক্‌-উপসর্গের কথা জানিয়ে সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে একটি ভিডিয়ো ভাগ করে নিয়েছেন তিনি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

টেক্সাস (আমেরিকা) শেষ আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০২২ ১৮:০৯
Share:

ক্যানসারের কিছু প্রাক্‌-উপসর্গের ব্যাপারে জানিয়ে সম্প্রতি নিজের ইনস্টাগ্রামের পাতায় একটি ভিডিয়ো ভাগ করে নিয়েছেন। প্রতীকী ছবি।

বিশ্ব জুড়ে ক্যানাসার আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। সমীক্ষা বলছে, প্রতি বছর বিশ্বে প্রায় কয়েক লক্ষ মানুষ মারা যান শুধুমাত্র ক্যানসার আক্রান্ত হয়ে। অনেকে আবার ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করে ফিরেও আসেন। আমেরিকার বাসিন্দা ৩৫ বছর বয়সি ক্রিস্টিনা ম্যাকনাইট তেমনই ক্যানসার যোদ্ধা। ২০১৪ সালে থাইরয়েড ক্যানসারে আক্রান্ত হন তিনি। ক্রিস্টিনার বয়স তখন ২৭। ক্যানসারের কিছু প্রাক উপসর্গের ব্যাপারে জানিয়ে সম্প্রতি নিজের ইনস্টাগ্রামের পাতায় একটি ভিডিয়ো ভাগ করে নিয়েছেন।

Advertisement

ক্রিস্টিনা জানিয়েছেন, ক্যানসার ধরা পড়ার কিছু দিন আগে থেকে শারীরিক একটি অস্বস্তির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন। খুব তাড়াতাড়ি ক্লান্ত হয়ে পড়ছিলেন। অল্প কাজ করলেই হাঁপিয়ে উঠছিলেন। ত্বক অত্যধিক শুষ্ক হয়ে গিয়েছিল, নখ ভেঙে যাচ্ছিল, চুল ঝরার পরিমাণ বেড়ে গিয়েছিল। এতগুলি উপসর্গ চোখের সামনে দেখেও আলাদা করে তখন গুরুত্ব দেননি ম্যাকনাইট। সেই সময়ে কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি হয়েছিল ক্রিস্টিনার। ফলে কাজের চাপ স্বাভাবিক ভাবেই অনেকটা বেশি ছিল। কাজের চাপের কারণেই এমন হচ্ছিল বলে ধরে নিয়েছিলেন ক্রিস্টিনা।

বেশ কিছু দিন এই উপসর্গগুলি স্থায়ী হওয়ায় ক্রিস্টিনার স্বামী জোর করেন চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার জন্য। স্বামীর কথায় চিকিৎসকের কাছে যান ক্রিস্টিনা। নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ধরা পড়ে ক্রিস্টিনার শরীরে হানা দিয়েছে মারণরোগ। থাইরয়েড ক্যানসারে ভুগছেন তিনি। তবে এটি ক্যানসারের প্রথম ধাপ। ক্রিস্টিনার কথায়, ‘‘কখনও ভাবিনি যে, আমার ক্যানসার হতে পারে। সব সময়ে ফিট থাকার চেষ্টা করতাম। শরীরচর্চা করতাম। দৌড়াতে যেতাম। ক্রসফিট করতাম। তা সত্ত্বেও এমন কেন হল, বুঝতে পারি না। আমার স্বামী প্রথম আমার উপসর্গগুলি লক্ষ করেন। আমি এমনিতে প্রচণ্ড চনমনে ছিলাম। কিন্তু কয়েক দিন যাবৎ ক্লান্ত হয়ে পড়ছিলাম দেখেই তাঁর মনে হয়েছিল কোথাও একটা সমস্যা হচ্ছে। তখনই আমাকে জোর করে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান’’।

Advertisement

ক্রিস্টিনার ঘাড়ে একটি ছোট্ট মাংসপিণ্ড তৈরি হয়েছিল। সেটা তিনি জানতেন না। চিকিৎসকই খুঁজে বার করেছিলেন। প্রথমে সেই মাংসপিণ্ডটি অস্ত্রোপচার করে বায়োপসি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। তাতেই জানা যায় থাইরয়েড ক্যানসারের কথা। শুরু হয় চিকিৎসা। একের পর এক কেমোথেরাপি, ওষুধ, ইঞ্জেকশন— দীর্ঘ এক বছর ক্যানসারের সঙ্গে ল়ড়াই করে ফিরে এসেছেন তিনি। প্রথম ধাপে ক্যানসার ধরা পড়লে সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা থাকে একশো শতাংশ। ক্রিস্টিনা তাঁর ভিডিয়োয় বার বার জানিয়েছেন, কোনও রকম শারীরিক উপসর্গ দেখা দিলেই তা ফেলে রাখা ঠিক নয়। সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া জরুরি। অসুস্থতা চেপে রাখলে বিপদ বাড়বে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement