ওজন ঝরাতে ব্রায়ানের ‘সাধনা’। ছবি- সংগৃহীত
শরীরচর্চা, ডায়েট, উপবাস কোনও কিছুই বাদ দেননি। বহু বার মাঝপথে হাল ছেড়ে দিয়েও আবার শুরু করেছেন। লাভ হয়নি। কিন্তু এ বারে একদম ‘ডু অর ডাই’ পরিস্থিতি। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের লক্ষ্যে আয়ারল্যান্ডের বাসিন্দা ব্রায়ান ৭ মাসের উপর পরিবার-পরিজনকে ছেড়ে রীতিমতো সাধনার পর্যায়ে নিয়ে চলে গিয়েছেন।
ব্রায়ান জানান, ৭ মাস আগে ২০২১ সালের শেষের দিকে তাঁর ওজন ছিল ১৫৩ কেজি। এখন তাঁর ওজন ৯১।
সূত্রের খবর, রোগা হওয়ার জন্য তিনি চেষ্টায় কোনও ত্রুটি রাখেননি। যেখানে যত রকম পদ্ধতি ছিল, এক এক করে নিজের উপর সব রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখে নিয়েছিলেন। শেষমেশ পরিবার থেকে দূরে স্পেনের একটি দ্বীপে একা থেকে অধ্যবসায় শুরু করেন। মনে মনে ঠিক করে ফেলেন, যতদিন না নিজের অভীষ্ট লক্ষ্যপূরণ হচ্ছে, তত দিন পর্যন্ত বাড়ি ফেরা তো দূর, কারও সঙ্গে যোগাযোগ পর্যন্ত রাখবেন না।
তবে শুধু শরীরচর্চা নয়, ব্রায়ানের মূল অস্ত্র ছিল ক্যালোরি মেপে খাওয়া। টানা ছ’মাস শরীরচর্চার পাশাপাশি তিনি প্রতিদিন ২২০০ কিলোক্যালরির খাবার খেতেন। কিন্তু শেষ একটি মাস তা কমিয়ে এনেছিলেন ১৭০০ কিলোক্যালরিতে। পাশাপাশি, দিনে পাঁচ ঘণ্টা শরারচর্চা। সঙ্গে হাঁটাহাটি, সাঁতার তো ছিলই।
সমাজমাধ্যমে নিজের সাফল্যের কাহিনি বর্ণনা করতে গিয়ে ব্রায়ান বলেন, “এই ৭ মাসে আমি এক দিনও ছুটি নিইনি। শরীরচর্চা করতে গিয়ে অসংখ্য আঘাত পেয়েছি। কিন্তু হাল ছাড়িনি। এক শতাংশও যদি নিজের উন্নতি হয়, সেই লক্ষ্যে ব্যথার উপর হেঁটেছি, দৌড়েছি।’’
ব্রায়ান জানান, “প্রথম চার মাস শৌচাগারে যেতে হামাগুড়ি দিতে হয়েছিল তাঁকে। ধীরে ধীরে শরীর অভ্যস্ত হয়ে যায়।”
ওজন ঝরাতে শুধু ডায়েট, শরীরচর্চা করলেই চলবে না। নিজেকে সকলের থেকে আলাদা করে, সমস্ত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে, নিজের লক্ষ্যে স্থির থাকতে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।