Pregnant Woman

অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর জানার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই মা হলেন তরুণী, জন্ম দিলেন পুত্রসন্তানের

তিনি যে অন্তঃসত্ত্বা, তা জানতেনই না তরুণী। চিকিৎসকের কাছ থেকে সে খবর পাওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পুত্রসন্তানের জন্ম দিলেন তিনি। কী ভাবে সম্ভব এমন ঘটনা?

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০২২ ১৮:২৯
Share:

অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর জানার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পুত্রসন্তানের জন্ম দেন পিটন। প্রতীকী ছবি।

দু’দিন আগে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর জানতে পেরেছিলেন। ৩ দিনের মাথায় সন্তানের জন্ম দিলেন এক মহিলা। আমেরিকার বাসিন্দাতেইশ বছর বয়সি পিটন স্টোভার পেশায় এক জন শিক্ষিকা। বেশ কয়েক দিন থেকেই তিনি শারীরিক ভাবে দুর্বল বোধ করছিলেন। প্রথম দিকে তেমন পাত্তা দেননি। শারীরিক এই ক্লান্তির কারণ হিসাবে কাজের চাপকেই ধরে নিয়েছিলেন। পিটন স্বামীকেও তাঁর অসুস্থতার ব্যাপারে কিছু জানাননি। তবে যত দিন যেতে থাকে, নিজের মধ্যে কিছু কিছু বাহ্যিক পরিবর্তন লক্ষ করেন তিনি। তাঁর স্বামীও এই আকস্মিক বদলে অবাক হয়ে যান। পা, পেট ফুলতে দেখে খানিক ভয় পেয়ে চিকিৎসকের কাছে যান ওই দম্পতি।

Advertisement

চিকিৎসক পেটনকে পরীক্ষা করে বলেন, যে তিনি সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এই কথা শুনে স্বামী-স্ত্রী দু’জনই অবাক হয়ে যান। এই বিষয়ে পুরোপুরি নিশ্চিত হতে পিটনের আল্ট্রাসোনোগ্রাফি করা হয়। তাতেই দূর হয় সন্দেহ। আরও বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরিক্ষার পর পিটনকে হাসপাতালে করিয়ে নেন চিকিৎসকরা। এই পর্যন্ত তা-ও ঠিক ঠাক চলছিল। কিন্ত চিকিৎসকরা জানান, পিটনের কিডনি এবং লিভার ঠিকঠাক কাজ করছে না। অস্ত্রোপচার না করলে তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হবে না। অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর জানার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পুত্রসন্তানের জন্ম দেন পিটন।

সময়ের ১০ সপ্তাহ আগে পৃথিবীতে আসে ১ কেজি ৮০০ ওজনের ‘কাশ’। প্রতীকী ছবি।

এমন ঘটনা সচরাচর ঘটে না। তবে চিকিৎসকদের অনুমান, পিটন ‘প্রিক্ল্যাম্পশিয়া’র শিকার। সাধারণত অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ২০ সপ্তাহে এই রকম সমস্যা দেখা যায়। গর্ভস্থ শিশুর বিকাশও ঠিক মতো হয় না। ফলে পেটের আকৃতি খুব বড় হয় না। উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে ‘প্রিক্ল্যাপশিয়া’র আশঙ্কা অনেক বেশি থাকে। এমনটাই ঘটেছে পিটনের সঙ্গে। পিটন এবং তাঁর সন্তানকে বাঁচাতে চিকিৎসকরা জরুরি ভিত্তিতে ‘সি-সেকশন’ করেন। সময়ের ১০ সপ্তাহ আগে পৃথিবীতে আসে ১ কেজি ৮০০ ওজনের ‘কাশ’। দু’দিনের মধ্যে এত কিছু ঘটনা ঘটে যাওয়া এখনও মানসিক ভাবে স্থিতিশীল নন পিটন। শারীরিক ভাবে তিনি আপাতত সুস্থ। পিটনের স্বামী বলেছেন, ‘‘তাঁরা দু’জনেই এখন ঘোরের মধ্যে রয়েছেন। একটা ঝড় বয়ে গেল। তবে ধীরে ধীরে সব ঠিক হয়ে যাবে। ছেলেকে সুস্থ করে তোলাই এখন তাঁদের মূল লক্ষ্য।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement