মূলত এইচআইভি ও এইচপিভি ভাইরাসের উপর গবেষণা চালান বিজ্ঞানীরা। প্রতীকী ছবি।
যৌনমিলনকে যন্ত্রণাহীন করতে অনেকেই বিভিন্ন ধরনের পিচ্ছিলকারক পদার্থ ব্যবহার করেন। সেই পিচ্ছিলকারক পদার্থে এক বিশেষ উপাদান মেশানো থাকলেই কমতে পারে যৌনরোগ সংক্রমণের আশঙ্কা। সেই উপাদানটি মিলতে পারে গরুর শ্লেষ্মা থেকে, দাবি করলেন সুইডেনের একদল বিজ্ঞানী।
সুইডেনের স্টকহোমের ‘কেটিএইচ রয়্যাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি’-র গবেষক হংজি ইয়ানের নেতৃত্বে এই গবেষণা চলে। গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে বিজ্ঞানপত্রিকা ‘অ্যাডভান্সড সায়েন্স’-এ। গবেষকদের দাবি, গরুর শ্লেষ্মা বা লালায় থাকা মিউকাসের মূল উপাদান হল মিউসিন। এই মিউসিনেরই ভাইরাসনাশক গুণ রয়েছে। মূলত এইচআইভি ও এইচপিভি ভাইরাসের উপর গবেষণা চালান বিজ্ঞানীরা।
গবেষণার ফল বলছে, গরুর মিউকাস থেকে তৈরি এক বিশেষ পিচ্ছিলকারক পদার্থ মেশানো হয় কিছু কোষের সঙ্গে। তার পর সেগুলিকে দু’রকম ভাইরাসের সংস্পর্শে আনা হয়। দেখা যায়, কেবল ৩০ শতাংশ কোষ এইচআইভি বা এডস সৃষ্টিকারী ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এইচপিভি ভাইরাসের ক্ষেত্রে এই আশঙ্কা আরও কম, ২০ শতাংশ। অর্থাৎ ওই পিচ্ছিলকারক পদার্থটি যথাক্রমে ৭০ ও ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রে এডস ও হারপিস সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে সক্ষম হয়েছে। তবে এই রোগগুলি যে হেতু মারাত্মক, তাই ১০০ শতাংশ নিশ্চিত না হলে এই পদার্থ ব্যবহারের প্রশ্নই ওঠে না বলেই মত গবেষকদের। তবে এই আবিষ্কারের উপর ভিত্তি করে ভবিষ্যতে কী ভাবে যৌনজীবনকে সুরক্ষিত করা যায়, তা বুঝতে আরও গবেষণা প্রয়োজন বলে মত তাঁদের।