চিনি থেকে কেন খুদেকে দূরে রাখবেন? ছবি: শাটারস্টক।
খাওয়া নিয়ে অনেক শিশুই সমস্যা করে। যা-ই বানিয়ে দিন না কেন, কিছুতেই খেতে চায় না সে। ভাত, ডাল পছন্দ না হলেও মিষ্টি জাতীয় খাবার বানিয়ে দিলে অনেক শিশুই চটপট খেয়ে নেয়। তাই অবিভাবকরা অনেকেই ভাবেন একটু মিষ্টি দিলে ক্ষতি কী?
চিকিৎসকদের মতে, দু’বছরের কম বয়সি শিশুদের ডায়েটে চিনি বা চিনি জাতীয় খাবার রাখা একেবারই ঠিক নয়। এই বয়সে বেশি চিনি খেলে পরবর্তী কালে উচ্চ রক্তচাপ, স্থূলতা এবং টাইপ-টু ডায়াবিটিস হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। এই বয়সি শিশুদের শর্করা যুক্ত খাবার খাওয়ালে তা তাদের বিকাশে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।
বাজারের প্যাকেটজাত সিরাপ এবং ফলের রসে অতিরিক্ত শর্করা থাকে। থাকে কেক, পেস্ট্রি, চকলেট, বিস্কুটেও। এ সব শিশুদের খাদ্যতালিকায় একেবারেই থাকা উচিত নয় বলে মনে করছেন পুষ্টিবিদরা।
জন্মের পর প্রথম চব্বিশ মাসে শিশুদের সঠিক বৃদ্ধির জন্য প্রচুর পুষ্টি ও ক্যালোরি প্রয়োজন হয়। যদিও অতিরিক্ত শর্করাযুক্ত খাবারগুলি ক্যালোরি সমৃদ্ধ, তবে তাতে পুষ্টির অভাব রয়েছে। এই বয়েসের শিশুরা খুব সীমিত পরিমাণে খাবার খায়। তাই তাদের খাদ্য যেন পুষ্টিগুণে ভরপুর হয়, তা নিশ্চিত করা দরকার।
শিশুকে চিনি খাওয়ালে কী ক্ষতি হয় ওর শরীরে?
যে সব শিশুর প্রাথমিক বছরগুলিতে উচ্চ চিনিযুক্ত খাবার খাওয়ানো হয়, তাদের অল্প বয়সে স্থূলতা, কার্ডিওভাসকুলার রোগ এবং দাঁতের ক্ষয় হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। দু’বছর বয়স পর্যন্ত শিশুরা কী খাচ্ছে, তার উপরেই তাদের খাদ্যাভাস তৈরি হয়। তাই ছোট থেকেই মিষ্টি জাতীয় খাবার খেলে বড় বয়সে গিয়েও সেই খাবারের প্রতি আসক্তি বাড়তে পারে।
তবে কেবল ২ বছরের কম বয়সি শিশুদের নয়, তার পরবর্তী সময়েও শিশুদের ডায়েট থেকে মিষ্টি জাতীয় খাবার একেবারেই বাদ দিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়। তারা কেক, চকলেট বা পেস্ট্রি খেতে চাইবেই। অভিবাবকদের তাতে নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে। আপনার সন্তানের স্বাস্থ্যের উপর নজরও রাখতে হবে এবং তাদের মিষ্টি খেতে অনুমতিও দিতে হবে। তবে ভারসাম্য বজায় রাখার দায়িত্ব আপনার। শিশুর জন্য বাইরে থেকে কিছু খাওয়ার জিনিস কিনলে, তাতে চিনির মাত্রা কতখানি সেই বিষয় সতর্ক থাকুন। নিজে বাড়িতে শিশুর জন্য খাওয়ার বানালে তাতে চিনি না দেওয়ার চেষ্টা করুন।