গরম খাবার খেয়ে স্নান করলে বেড়ে যেতে পারে হৃদ্স্পন্দনের মাত্রা। ছবি- সংগৃহীত
সকালে ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়ে গিয়েছে। স্নান করার আগে ঠিক করলেন খাবারটা খেয়ে নেবেন। তাতে কিছুটা হলেও সময় বাঁচবে। মায়ের কাছে খাবার চাইতেই, শুরু হল বকাঝকা। অনেক বাড়ির ক্ষেত্রে এটা খুবই চেনা একটা ছবি। স্নানের আগে খাবার খাওয়া নিয়ে বাড়ির বড়রা অনেকেই আপত্তি তোলেন। স্নানের আগে খাওয়ার অভ্যাস স্বাস্থ্যকর নয় বলেই মনে করেন তাঁরা। তাতে নাকি নানা রকম শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। এই ধারণার আদৌ কি কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে?
চিকিৎসকরাও কিন্তু স্নানের আগে খাওয়াকে শরীরের পক্ষে অস্বাস্থ্যকর বলেই মনে করছেন। স্নানের আগে খাবার খাওয়ার এই অভ্যাসকে চিকিৎসা পরিভাষায় বলা হয় ‘হাইপারথার্মিক অ্যাকশন’। এর ফলে শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশ খানিকটা বেড়ে যেতে পারে। এতে শরীরের যে বিশাল কোনও ক্ষতি হয় এমন নয়। বরং এর ফলে প্রতিরোধ ক্ষমতা কিছুটা বেড়ে যায়। আসলে খাওয়ার পর স্বাভাবিক ভাবেই শরীরের তাপমাত্রা কিছুটা হলেও বেড়ে যায়। হজমের প্রক্রিয়া শুরু হয় এই সময় থেকেই। সেই মুহূর্তে যদি স্নান করেন শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের মাত্রা ছা়ড়িয়ে যেতে পারে। তা ছাড়া গরম খাবার খেয়ে স্নান করলে বেড়ে যেতে পারে হৃদ্স্পন্দনের মাত্রাও।
খাওয়ার পর স্বাভাবিক ভাবেই শরীরের তাপমাত্রা কিছুটা হলেও বেড়ে যায়। ছবি- সংগৃহীত
স্নান করার ফলে শরীরের তাপমাত্রার এমনিই তারতম্য ঘটে। ফলে সুষ্ঠু ভাবে হজমের জন্য বাড়তি রক্তের সরবরাহ ব্যাহত হয়। ফলে বিপাকক্রিয়া খুব ধীর হয়ে পড়ে। ক্লান্তি, মাথাব্যথার মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে এর ফলে। ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট কিংবা অতিরিক্ত ফাইবার জাতীয় খাবার খাওয়ার পরে স্নান করলে গ্যাস-অম্বলের সমস্যা বাড়তে পারে।
চিকিৎসকরা বলছেন, স্নান করার আগে খেলে শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হবে, এমন কিন্তু নয়। তবে খাওয়া এবং স্নানের মাঝে ৩০ মিনিটের একটা ব্যবধান রাখা প্রয়োজন। এতে স্বাস্থ্যের ঝুঁকি কমবে।