গরমে অতিরিক্ত মাছ-মাংস কেন খেতে নেই? ছবি: সংগৃহীত
শরীর সুস্থ রাখতে রোজের খাদ্যতালিকায় নির্দিষ্ট পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট— দরকার হয় সব কিছুরই। দ্রুত ওজন কমানোর আশায় অনেকেই পুষ্টিবিদদের সঙ্গে পরামর্শ না করেই ডায়েট করতে শুরু করেন। আর এই ডায়েট করতে গিয়ে অনেকেই প্রয়োজনের চেয়ে বেশি প্রোটিন খেয়ে ফেলেন। তবে গরমে সাবধান! এই মরসুমে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি মাত্রায় প্রোটিন শরীরে গেলে বিভিন্ন ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে।
বাঙালি হেঁশেলে প্রোটিন মানেই মাছ-মাংস আর ডিমের আধিক্য! গরমের সময়ে পাঁঠার মাংস, চিংড়ি, ডিম বেশি মাত্রায় খেতে কেন বারণ করেন চিকিৎসকেরা? চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী বলেন, ‘‘গরমের সময়ে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গগুলি ভাল করে কাজ করতে পারে না। তাই যেমন গরমের দিনে কম পরিশ্রম করতে বলা হয়, তেমনই খাওয়াদাওয়াতেও হালকা-পাতলা খাবারের উপর জোর দিতে বলা হয়। পাঁঠার মাংস, সামুদ্রিক মাছ, বড় মাছ, ডিম সবই আদতে কমপ্লেক্স প্রোটিন। এই প্রোটিন পাঁচনের জন্য পাকস্থলী, লিভারকে অনেক বেশি কসরত করতে হয়। গরমের সময়ে শরীর এই কসরত ঠিকমতো করতে পারে না। তাই এই সময়ে কমপ্লেক্স প্রোটিন বেশি খেলেই পেটের গোলমাল হয়।’’
অতিরিক্ত প্রোটিন ও কম কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার খেলে শরীরে ফাইবারের পরিমাণ কমে যায়। ছবি: শাটারস্টক
গরমে অতিরিক্ত প্রোটিন খাওয়ার ফলে ডায়েরিয়া কিংবা বমি হলে শরীর থেকে অনেক জল বেরিয়ে যায়। শরীরে জলের ঘাটতি হয়। গরমে যা বিপদের কারণ হতে পারে। এ ছাড়া অতিরিক্ত প্রোটিন ও কম কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার খেলে শরীরে ফাইবারের পরিমাণ কমে যায়। কম ফাইবার শরীরে গেলে হজমের সমস্যা, কোষ্টকাঠিন্য দেখা যায়। তাই চিকিৎসকদের মতে, এই সময়ে কমপ্লেক্স প্রোটিন না খাওয়াই ভাল। মাঝেমধ্যে যদি খেতেও হয়, তা হলে কম তেলমশলা দিয়ে রান্না করতে হবে। ছোট মাছ, চিকেন খাওয়া যেতে পারে। ডিম খেলেও দিনে একটা-দুটোর বেশি না খাওয়াই শ্রেয়।