রুটি খেয়েও ওজন থাকবে নিয়ন্ত্রণে, জানতে হবে কৌশল। ছবি: শাটারস্টক।
পুজো আসতে আর মাত্র মাসখানেক বাকি। সারা বছর ওজন নিয়ে তেমন সচেতন না থাকলেও, এই সময় অনেকেই ফিটনেস নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েন। কেউ জিমের মেম্বারশিপ নিয়ে ফেলেন কেউ আবার শুরু করেন কড়া ডায়েট। ওজন ঝরাবেন বলে অনেকেই ভাত, রুটি খাওয়া ছেড়েছেন। তবে রুটি খেয়েও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে গমের রুটির বিকল্প হতে পারে রাগির রুটি। স্বাস্থ্য সচেতন মানুষদের মধ্যে ইদানীং মিলেটের চাহিদা বেড়েছে। আটা-ময়দার বদলে যদি রাগি ব্যবহার করা হয়, তা হলে দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। রাগিতে ‘আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট’ নেই বললেই চলে। ফলে শরীরে বাড়তি মেদ জমার কোনও সম্ভাবনাই থাকে না রাগি খেলে। এতে রয়েছে আয়রন, ক্যালশিয়াম, প্রোটিন-সহ বেশ কিছু খনিজ, যা শুধু ওজন নয়, রক্তে শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। রাগিতে ভরপুর মাত্রায় ফাইবার থাকে। ফাইবার অন্ত্রের জন্য ভাল।
আটা-ময়দার বদলে রোজের ডায়েটে রাগি রাখলে কী কী উপকার হয় শরীরের?
১) ডায়াবিটিস ধরা পড়লে ডায়েটে চলে আসে নানা রকমের বিধিনিষেধ। ভাত-রুটি খেতে হয় নিয়ম মেনে। নিয়মিত রাগি খেলে ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই কমে। রাগিতে থাকা ফাইবার বিপাকহার বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। যার প্রভাবে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
২) পেটের সমস্যায় সারা বছর ভুগতে হয়। রাগিতে থাকা ফাইবার অত্যন্ত সহজপাচ্য, তাই হজমের সমস্যা থাকলেও রাগি খেতে পারেন। অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখার পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময় করতেও সাহায্য করে রাগি।
৩) রাগিতে থাকা ম্যাগনেশিয়াম এবং পটাশিয়াম হার্টের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও, রাগিতে থাকা বিভিন্ন প্রয়োজনীয় খনিজ লিভারে ফ্যাট জমতে বাধা দেয়। ফলে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রাও ঠিক থাকে।
৪) রাগিতে থাকা ফাইবার অনেক ক্ষণ পর্যন্ত পেট ভর্তি রাখে। তাই বার বার খিদে পাওয়ার প্রবণতা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকে। যাঁরা ডায়েট করছেন, তাঁদের জন্যও রাগি ভাল বিকল্প হতে পারে।
৫) সাধারণত দুধ বা দুগ্ধজাত খাবারকেই ক্যালশিয়ামের প্রধান উৎস বলে মনে করা হয়। তবে পুষ্টিবিদেরা বলছেন, রাগিতেও যথেষ্ট পরিমাণ ক্যালশিয়াম থাকে। তাই দুধ সহ্য হয় না যাঁদের, তাঁরা রাগি দিয়ে তৈরি খাবার খেতেই পারেন।