সামান্য চোট থেকেই ভবিষ্যতে হতে পারে বড় সমস্যা। ছবি: সংগৃহীত
অঘটন যে কোনও সময়ে, যে কারও সঙ্গে ঘটতে পারে। আচমকা মাথায় কোনও কারণে আঘাত লাগলে, তা ভয়ঙ্কর বিপদ ডেকে আনতে পারে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে মস্তিষ্কে আঘাত পেলে শারীরিক ভারসাম্যও হারিয়ে ফেলতে পারেন মানুষ। মস্তিষ্ক সারা শরীরকে নিয়ন্ত্রণ করে। সেটি কাজ না করলে ভীষণ মুশকিল। সঠিক সময়ে চিকিৎসা না হলে হতে পারে বড় বিপদ।
তবে শিশুদের ক্ষেত্রে এমনটা হলে একটু বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন। খেলার সময়ে, লাফালাফি করতে গিয়ে অনেক বার শিশুদের মাথায় আঘাত লাগে। চেয়ার, টেবিল, কিংবা খাট থেকে পড়ে গিয়েও এমনটা হতে পারে। এমন হলে কিন্তু কখনওই অবহেলা করবেন না। সামান্য চোট থেকেই ভবিষ্যতে হতে পারে বড় সমস্যা।
মাথায় চোট লাগলে অত্যধিক যন্ত্রণা, কথা বলার সমস্যা, শরীরের ভার নিতে না পারা, মাথা ঘোরা, বমি, সঠিক ভাবে হাঁটাচলা না করতে পারা, দৃষ্টিশক্তি হ্রাস, অবসাদ, উদ্বেগ, স্মৃতি হারিয়ে ফেলা, অনিদ্রা, দুর্বলতার মতো সমস্যা হতে পারে। এ ছাড়াও নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। আঘাত গুরুতর হলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে যায়। অনেকের ‘ব্রেন ডেথ’ হতে পারে। ফেশিয়াল প্যারালাইসিস হওয়ার আশঙ্কাও থাকে। এ ছাড়া হেমারেজ, মাথায় ফ্র্যাকচার, ডিফিউস অ্যাক্সোনাল ইনজুরিও হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিশুদের রক্তনালী পাতলা এবং ছোট হয়। তাদের ক্ষেত্রে মস্তিষ্কে আঘাত লাগলে ঝুঁকি অনেকটাই বেশি।
প্রতীকী ছবি
কোন কোন উপসর্গ ভুলেও অবহেলা করবেন না?
১) চোট লাগার পর যদি নিশ্বাস নিতে কষ্ট হয়।
২) কথা বলতে বা দেখতে অসুবিধা হয়।
৩) নাক, কান, মুখ দিয়ে আচমকা রক্ত বার হলে।
৪) অতিরিক্ত বমি ও খিঁচুনি হলে।
৫) শিশু অচেতন হয়ে গেলে।
কী করবেন?
প্রথমেই শিশুকে শুয়ে দিয়ে মাথায় আঘাতের বা ফোলা স্থানে বরফ দিতে হবে। চামড়া কেটে রক্ত বেরোতে থাকলে, রক্তপাত বন্ধ করার জন্য কাটা স্থান পরিষ্কার কাপড় দিয়ে চেপে ধরে রাখতে হবে। দেরি না করে শিশুকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। উপসর্গগুলি দেখা দিলে স্নায়ুরোগ বিশেযজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে মাথার সিটি স্ক্যান করাতে হবে।
সাবধানতা
মাথায় আঘাত গুরুতর না হলেও পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা শিশুর উপরে কড়া নজর রাখুন। অনেক সময়ে খানিকটা দেরিতে উপসর্গগুলি দেখা যায়।