বাচ্চারা চকলেট-আইসক্রিম যত তাড়াতাড়ি পছন্দ করে ফেল, ফল-সব্জি তত সহজে তাদের প্রিয় হয়ে ওঠে না। ছবি: সংগৃহীত
বাচ্চাদের খাওয়ানো কম ঝক্কির নয়। কেউ খেতেই চায় না। আবার কারও চকোলেট-আইসক্রিম-কেক ছাড়া সব কিছুতেই অরুচি। ফল-শাক-সব্জি দেখলে তো কথাই নেই। মুখে তুলতেই নারাজ তারা। তাই শিশুর স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য যা যা পুষ্টিগুণ প্রয়োজন, তার জোগান দিতে রীতিমতো হাঁপিয়ে ওঠেন বাবা-মায়েরা। সাধারণত দেখা যায়, যে কোনও তরকারি বা সব্জি অনেক দেরি করে ভাল লাগে বাচ্চাদের। কিন্তু আইসক্রিম, চিপস বা নরম পানীয় খুব সহজেই ভাল লেগে যায় তাদের। টুকটাক খিদে পেলে সে দিকেই ঝোকে বেশির ভাগ বাচ্চা। তবে এখন বাজারে অনেক ধরনের স্ন্যাক্স বার পাওয়া যায়। যেগুলির মোড়কে বড় বড় অক্ষরে দাবি করা থাকে, তা কতটা স্বাস্থ্যকর। তবে খতিয়ে দেখলে বুঝবেন, আদপে তা নয়।
বাচ্চাদের খাদ্যাতালিকায় অতিরিক্ত চিনি বা কৃত্রিম চিনি থাকলে অনেক সময়ে মস্তিষ্ক সে ভাবেই প্রশিক্ষণ পায়।
যে কোনও দায়িত্বশীল বাবা-মা সন্তানের জন্য কোনও রকম খাবার কেনার আগে মোড়কটি ভাল করে পড়ে নেন। সেই খাবারে কতটা পুষ্টিগুণ রয়েছে, তার তালিকা দেওয়া থাকে। কিন্তু অনেকেই বুঝতে পারেন না, এই তালিকাতেও রয়েছে নানা রকম ছল-চতুর! কোথাও যদি ‘ফল’ উল্লেখ করা থাকে, তা হলে বুঝবেন সেটা আদৌ গোটা ফল নয়, ফলের নির্যাস বড় জোর। কখনও যদি কোনও প্যাকেটের ফলের রস কেনেন আর মোড়কে লেখা থাকে ‘ইভাপোরেটেড কেন জুস’ বা ‘অ্যাভেজ সিরাপ’এর মতো শব্দ তা হলে বুঝতে হবে তা আদপে চিনি! এই সব প্যাকেট মোড়া খাবারেই অতিরিক্ত পরিমাণে চিনি যোগ করা থাকে।
বাচ্চাদের খাদ্যাতালিকায় অতিরিক্ত চিনি বা কৃত্রিম চিনি থাকলে অনেক সময়ে মস্তিষ্ক সে ভাবেই প্রশিক্ষণ পায়। ফলে আরও চিনি খাওয়ার ইচ্ছে বেড়ে যায়। হয়তো সেই কারণেই বাচ্চাদের শরীর বেশি করে চিনি দেওয়া বা মিষ্টি জাতীয় খাবার খেতে চায়। কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন বা গুড ফ্যাট রয়েছে এমন কোনও খাবার খেতে চায় না। কারণ তা হলে মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়ার জায়গা থাকবে না শরীরে।
কী করবেন
ছোট থেকেই শিশুকে নানা রকম খাবার খাওয়ান। গোটা শস্যের চিপ্স দিতে পারেন, ফল-সব্জি খাওয়ান, উদ্ভিদজাত দুধ খাওয়াতে পারেন, বাড়তি নুন বা চিনি দেওয়া স্ন্যাক্স বাদ রাখুন খাদ্যতালিকা থেকে।