Cardiac Arrest

Heart Rate: হৃদ্‌স্প‌ন্দনের হার বলে দেবে শরীরের হাল

বিশেষজ্ঞদের মতে, একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের ক্ষেত্রে হৃদ্‌স্প‌ন্দনের হার স্বাভাবিক অবস্থায় প্রতি মিনিটে ৭২ বার হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৩:৫৮
Share:

হৃদস্পন্দনের হার গুরুত্বপূর্ণ কেন? ছবি: সংগৃহীত

বর্তমানে অনেকেই এমন কিছু যন্ত্র ব্যবহার করেন, যার মাধ্যমে নিয়মিত হৃদ্‌স্প‌ন্দনের হার মাপা যায়। বিশেষজ্ঞদের মত্‌ একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের ক্ষেত্রে হৃদ্‌স্প‌ন্দনের হার স্বাভাবিক অবস্থায় প্রতি মিনিটে ৭২ বার হয়। তবে হৃদ্‌স্প‌ন্দনের হার ব্যক্তি ভেদে প্রতি মিনিটে ৬০ থেকে ১০০-ও হতে পারে।

Advertisement

প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত

বিশেষজ্ঞদের মতে, স্বাভাবিকের তুলনায় কম বা বেশি হৃদ্‌স্প‌ন্দনের হার একাধিক অসুস্থতার উপসর্গ হতে পারে। হৃদ্‌স্প‌ন্দনের হার কমে যাওয়া ও বেড়ে যাওয়া যথাক্রমে ব্রাডিকার্ডিয়া ও ট্যাকিকার্ডিয়ার লক্ষণ হতে পারে। তবে যাঁরা পেশাগত ভাবে খেলাধুলা কিংবা শরীরচর্চা করেন তাঁদের হৃদস্পন্দনের হার সাধারণ ভাবে অপেক্ষাকৃত কম হয়।

বিশেষজ্ঞদের মতে হৃদ্‌স্প‌ন্দনের হার কম হওয়ায় পিছনে একাধিক কারণ থাকতে পারে। হৃদ্‌যন্ত্রের যে অংশটি হৃদ্‌স্প‌ন্দনের উৎস সেই সাইনো অ্যাট্রিয়াল নোড সঠিক ভাবে কাজ না করলে হৃদ্‌স্প‌ন্দনের হার কমে যেতে পারে। এটি হৃদ্‌রোগের অন্যতম লক্ষণ। আবার টাইফয়েডের মতো কিছু কিছু রোগের সংক্রমণের ফলেও এই হার কমে যায়। থাইরয়েড গ্রন্থি সঠিক ভাবে কাজ না করলেও এমন ঘটনা ঘটে। রক্তে পটাশিয়ামের পরিমাণ বেড়ে গেলেও হৃদ্‌যন্ত্রে এমন সমস্যা দেখা দিতে পারে।

আবার হৃদ্‌স্পন্দনের হার স্বাভাবিকের থেকে বেড়ে গেলেও সেটি ডেকে আনতে পারে বিপদ। বিশেষজ্ঞদের মতে, সাধারণত যে কোনও ধরনের জ্বর বাড়িয়ে দেয় হৃদ্‌স্পন্দনের হার। সংবহনতন্ত্রের একাধিক সমস্যাও বাড়িয়ে দিতে পারে হৃদ্‌স্প‌ন্দনের হার। রক্তাল্পতা ও হাঁপানির মতো সমস্যাও হৃদ্‌স্পন্দনের হার বাড়িয়ে দিতে পারে। কোভিডের পরেও বেশ কিছু রোগীর মধ্যে এই সমস্যা দেখা যাচ্ছে।

হৃদ্‌স্পন্দনের অস্বাভাবিক হার হৃদ্‌রোগের প্রাথমিক লক্ষণ। ক্লান্তি, ঝিমুনি, বুক ধড়ফড় করা, শ্বাসকষ্ট-- সবই এর লক্ষণ। আবার বিশ্বে প্রতি বছর সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যুর কারণই হল হৃদ্‌রোগ। কাজেই এই ধরনের সমস্যা উপেক্ষা করা একেবারেই অনুচিত। বর্তমানে হৃদ্‌স্পন্দন মাপার জন্য বিশেষজ্ঞ হওয়ায় প্রয়োজন হয় না। দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত প্রযুক্তির মধ্যে দিয়েই এর পরিমাপ সম্ভব। কাজেই যদি এই ধরনের সমস্যা দেখা দেয়, তবে অবিলম্বে নিতে হবে চিকিৎসকের পরামর্শ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement