গাজরের হরেক গুণ ছবি: সংগৃহীত
গুণের শেষ নেই গাজরের। ভিটামিন সি, পটাশিয়াম ও বিটা ক্যারোটিনের মতো একাধিক জরুরি উপাদানে সমৃদ্ধ গাজর চোখ ভাল রাখতে যেমন সহায়তা করে, তেমনই ভাল রাখে ত্বক। ফলে যাঁরা মধ্য বয়সের দিকে যাচ্ছেন, তাঁদের চোখ ভাল রাখতে বা ত্বকের যত্ন নিতে গাজর বেশ উপযোগী।
প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
১। চোখ ভাল রাখতে: চোখের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে দারুন কার্যকরী গাজর। গাজরে থাকে প্রচুর পরিমাণ বিটা ক্যারোটিন, যা চোখ ভাল রাখতে অত্যন্ত উপযোগী। পাশাপাশি, গাজরে লুটেইন ও জিয়াক্সানথিন নামক ক্যারোটিনয়েড জাতীয় উপাদান থাকে যা ক্ষতিকর আলোক রশ্মি থেকে চোখকে রক্ষা করে। বার্ধক্যজনিত দৃষ্টিশক্তি হ্রাসের আশঙ্কা কমাতেও গাজর অত্যন্ত উপযোগী।
২। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে: গাজরে ভিটামিন এ ও ভিটামিন সি থাকে। এই ভিটামিনগুলি অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট গুণসম্পন্ন। পাশাপাশি, গাজরে থাকে ভিটামিন বি৬, যা লিম্ফোসাইট কণিকার স্বাস্থ্য রক্ষায় সহায়তা করে। এই লিম্ফোসাইট দেহে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলে।
৩। ক্যানসার রোধে: বিশেষজ্ঞদের মতে গাজরে পাওয়া যায় এমন বেশ কিছু উপাদান, যা ক্যানসার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করতে পারে। বিশেষত গাজরের পলিঅ্যাসেটাইলিন, বিটা ক্যারোটিন ও লুটেইন লিউকেমিয়ার বিরুদ্ধে বেশ কার্যকরী।
৪। ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে: গাজরের রসের গ্লাইসেমিক সূচক বেশ কম। তাই পরিমিত পরিমাণে গাজরের রস পান করলে রক্তের শর্করার পরিমাণ খুব একটা বৃদ্ধি পাওয়ার কথা নয়। তবে গাজরের রস অতিরিক্ত পান করা ডায়াবিটিস রোগীদের জন্য ভাল নাও হতে পারে।
৫। ত্বক ভাল রাখতে: গাজর কোলাজেন উৎপাদনে সহায়তা করে। এই কোলাজেন ত্বক ভাল রাখে। পাশাপাশি, গাজরের ভিটামিন সি ও বিটা ক্যারোটিন কোষে জারণের ফলে তৈরি হওয়া বিষাক্ত উপাদান ও সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে ত্বকের কোষগুলি রক্ষা করতে সহায়তা করে।