শীতে কেন খাবেন ফলের শরবত? ছবি: সংগৃহীত।
রোদের তীব্রতা না থাকলেও বাইরে থেকে ফিরে শরবতের গ্লাসে চুমুক দিলে মন্দ লাগে না। বাড়িতে হঠাৎ অতিথি এসে পড়লে তাঁর মন জয় করতেও শরবতের জুড়ি মেলা ভার। শীতের বাজারে মরসুমি ফলের অভাব নেই। শুধু ফল খাওয়ার পাশাপাশি মাঝেমাঝে বরং শরবত বানিয়েও খেতে পারেন। যে ভাবেই খান না কেন, ফল নিঃসন্দেহে শরীরের যত্ন নেয়। তা ছাড়া, দুধের মতোই খুদেদের ফল খাওয়াতেও বেশ নাজেহাল হতে হয়। সে ক্ষেত্রে শরবত বানিয়ে দিলে বরং সোনামুখ করে খেয়ে নেয় শিশুরা। বাড়তি চিনি না মেশালে ঘরে তৈরি শরবত শরীরের খেয়াল রাখে।
রক্ত সঞ্চালনে সাহায্য করে
ফলে থাকে আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন বি৬-এর মতো পুষ্টিকর উপাদান। ফল দিয়ে শরবত বানিয়ে খেলে এই উপাদানগুলি সহজেই শরীরে মিশে যায়। এর ফলে রক্ত সঞ্চালন ভাল হয়। ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। ম্যাঙ্গানিজের পরিমাণ থাকায় রক্তচাপ কম রাখতেও সহায়তা করা শরবত।
চোখের সমস্যায়
চোখে ঝাপসা দেখা, চোখ জ্বালা করা, চোখ চুলকানো— অনেকেই চোখের নানা সমস্যা নিয়ে নাজেহাল। ইলোক্ট্রোলাইটের সমৃদ্ধ উৎস হল শরবত। চোখের নানাবিধ সমস্যা দূর করতে দারুণ সাহায্য করে এই উপাদান। চোখের যত্ন নিতে ভরসা রাখতে পারেন শরবতে।
শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখতে
শীতে জল খাওয়ার পরিমাণ কমে যায়। ফলে শরীর আর্দ্রতা হারাতে শুরু করে। শরীর আর্দ্র রাখতে জলের বিকল্প নেই। শরীর সুস্থ রাখতে নিয়মিত প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়ার কথা বলেন চিকিৎসকরা। জল তো রয়েছেই, তবে মাঝেমাঝে স্বাদ বদলাতে ভরসা রাখতে পারেন শরবতে।
ফলের শরবত শরীরের খেয়াল রাখে। ছবি: সংগৃহীত।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে
শীতকাল মানেই নানা রোগবালাই জাঁকিয়ে বসতে শুরু করে। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে সমৃদ্ধ শরবত শুধু গরমে তৃষ্ণা মেটায় এমন নয়, শীতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করে। ক্ষতিগ্রস্ত কোষের মেরামতিতেও শরবত সাহায্য করে।
ওজন নিয়ন্ত্রণে
ওজন হাতের মুঠোয় রাখতে ফল খাওয়ার কোনও বিকল্প নেই। ফলে আছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। হজমশক্তি উন্নত হয় ফল খেলে। আস্ত ফল তো খাওয়া হয়ই। তবে একটু পরিশ্রম করে যদি ফল দিয়ে শরবত বানিয়ে নিতে পারেন, তা হলে মন্দ হয় না। খেতে তো ভাল লাগবেই। সেই সঙ্গে শরীরেরও যত্ন হবে। তবে ভুলেও শরবতে চিনি মেশাবেন না।