নারকেল থেকে ভিটামিন বি-৫ আর বি-৬ পাওয়া যায়। ছবি- সংগৃহীত
পুজোর ভোগের খিচুড়ি থেকে মায়ের সামনে সাজিয়ে রাখা নাড়ু। অধিকাংশ প্রসাদেই নারকেলের উপস্থিতি বাঁধা। তবে খেতে ভাল লাগলেও নারকেলের সব কিছুই যে খুব ভাল, তা নয়। আর পাঁচটি খাবারের মতো নারকেলও দোষ-গুণে ভরা। কারও নারকেল খেলে পেটের সমস্যা দেখা দেয়, কারও ক্ষেত্রে আবার নারকেল বাড়িয়ে দিতে পারে ওজন। কারণ, নারকেলে ফ্যাটের পরিমাণ বেশ ভালই। তবে আজ কুখ্যাতি নয়, আলোচনা করা যাক নারকেলের গুণের কথা।
নারকেলে প্রচুর পটাশিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, কপার থাকে। ছবি- সংগৃহীত
ভিটামিনে ঠাঁসা
জল হোক বা শাঁস, নারকেল মানেই প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন আর খনিজ লবণের ভাণ্ডার। মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভিটামিন বি প্রয়োজন। নারকেল থেকে ভিটামিন বি-৫ আর বি-৬ পাওয়া যায়।
খনিজ পদার্থে ভরপুর
নারকেলে থাকে ম্যাঙ্গানিজ, যা হাড় ভাল রাখতে সহায়তা করে। পাশাপাশি, নারকেলে থাকা অন্য একটি উপাদান হল সেলেনিয়াম। এটি এক ধরনের অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। কোষে দূষিত পদার্থকে জমতে বাধা দেয়। মনে করে দেখুন, কোভিডের সময় চিকিৎসকদের মুখে এই ম্যাঙ্গানিজ এবং সেলেনিয়ামের কথা বার বার শোনা গিয়েছিল। এ ছাড়াও নারকেলে প্রচুর পটাশিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, কপার থাকে। তবে যাঁদের রক্তচাপ ও ডায়াবিটিসের সমস্যা আছে, তাঁদের নারকেলের শাঁস কিংবা জল খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে হবে। কারণ সোডিয়াম-পটাশিয়ামের ভারসাম্য বিগড়ে গেলে বেড়ে যেতে পারে সমস্যা।
বিস্মৃতি রুখতে
ডাবের জলে থাকে ‘এমসিটি’ অর্থাৎ, ‘মিডিয়াম চেন ট্রাইগ্লিসারাইডস’। এমসিটি মস্তিষ্ককে ক্ষুরধার করে, স্মৃতিশক্তি জোরদার করে। কেউ কেউ এই কারণে অ্যালঝাইমার্সের রোগীদের ডাবের জল খাওয়ার পরামর্শ দেন।