টক দই খেলে শরীর ঠান্ডা থাকে। ছবি: সংগৃহীত।
গরমে বাঙালির পাতে নিয়ম করে টক দই থাকবে, এ আবার নতুন কথা কী। গ্রীষ্মে টক দইয়ের সঙ্গে বাঙালির মজবুত সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মেনুতে যাই থাক, শেষ পাতে টক দই না হলে অনেকেরই ভূরিভোজ সম্পূর্ন হয় না। টক দই খাওয়ার উপকারিতা বহু। টক দইয়ে রয়েছে প্রোবায়োটিক উপাদান। এ ছাড়াও ক্যালশিয়াম, ভিটামিন বি এবং আরও অনেক উপকারী উপাদানে ঠাসা। চিকিৎসক থেকে পুষ্টিবিদ, টক দই খাওয়ার কথা বলে থাকেন অনেকেই। তবে আয়ুর্বেদশাস্ত্র খানিক অন্য কথা বলছে। গরমকালে রোজ দই খাওয়ার কিছু উপকারিতা রয়েছে। তেমনি আছে কিছু অস্বাস্থ্যকর দিকও।
টক দই খেলে শরীর ঠান্ডা থাকে। এ কথা অজানা নয়। কিন্তু টক দই খেলেই যে শরীর ঠান্ডা হয়, এ ধারণা সঠিক নয়। বেশি টক দই খেলে শরীর গরম হয়ে যাওয়ারও আশঙ্কা থাকে। তা ছাড়া সহজে হজম হতে চায় না। হজম হতে অনেক সময় নেয়। তাই হজমের সমস্যা যাঁদের রয়েছে, ঘন ঘন টক দই না খাওয়াই ভাল। টক দই খেলে অনেকেরই আবার ব্রণ হয়। তাই বলে কি দই খাওয়া বন্ধ করে দেবেন, তা তো হয় না। দই খান। তবে একটু অন্য ভাবে।
দই দিয়ে বানিয়ে নেওয়া যেতে পারে ঘোল। তাতে সৈন্ধব লবণ, গোলমরিচ আর অল্প জিরে মিশিয়ে খেতে পারেন। শরীর কিন্তু সত্যিই ঠান্ডা হবে এতে। শুধু দই খাওয়ার চেয়ে এ ভাবে খাওয়া অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর হবে। আর তা না হলে দইয়ের সঙ্গে অল্প ঠান্ডা জল মিশিয়ে খান। অসুবিধা হবে না। আয়ুর্বেদশাস্ত্র মতে, স্থূলতার সমস্যা থাকলে গরমে দই না খাওয়াই ভাল। খুব ভাল হয় যদি দইয়ের সঙ্গে ফল মিশিয়ে নেন।