খাবার যদি সঠিক ভাবে হজম না হয় তা হলেও শরীরের উপর তার প্রভাব পড়ে। ছবি: সংগৃহীত
সারা ক্ষণ চনমনে থাকতে পুষ্টিবিদরা স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কিন্তু অনেক সময়ে খাওয়ার পরেও ক্লান্তি যেন ঘিরে ধরে। দুর্বল লাগে। সময় মতো পর্যাপ্ত খাবার খাওয়ার পরেও কেন ক্লান্তি আসে তা অনেকের কাছেই পরিষ্কার নয়। পুষ্টিবিদরা বলছেন, সুস্থ থাকতে খাওয়ার চেয়েও কী খাচ্ছেন সেটা অত্যন্ত জরুরি। আবার খাবার যদি সঠিক ভাবে হজম না হয় তা হলেও শরীরের উপর তার প্রভাব পড়ে। তাই খাওয়ার আগে কী খাচ্ছেন সে দিকে বেশি নজর দিন। নয়তো খাওয়ার পরে ক্লান্তি আসতে পারে। কোন খাবারগুলি শরীরের ক্লান্তি ডেকে আনে?
১) কফি: দীর্ঘ ক্ষণ কাজের পর নিজেকে তৎক্ষণাৎ চনমনে করে তুলতে কফির কাপে চুমুক দেন অনেকেই। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কফি ক্লান্তি দূর করার বদলে আরও বৃদ্ধি করে। ক্লান্তি দূর করতে কফির চেয়ে চা অনেক বেশি উপকারী।
২) চিজ: চিজে রয়েছে উচ্চমাত্রার স্যাচুরেটেড ফ্যাট, সোডিয়াম এবং কোলেস্টেরল। চিজ খেতে ভাল লাগলেও চিজ দ্রুত হজম হতে চায় না। তাই যখন এমনিতেই শরীর ক্লান্ত রয়েছে, তখন চিজ না খাওয়াই ভাল।
পেষ্ট্রির মতো চিনি সমৃদ্ধ খাবার এড়িয়ে চলুন। ছবি: সংগৃহীত
৩) সাদা চিনি: চিনি সাময়িক ভাবে শক্তি জোগালেও পরবর্তীতে শরীরে এর বিরূপ প্রভাব পড়ে। তাই যখন শরীর ক্লান্ত বা দুর্বল লাগছে সেই সময় আইসক্রিম, পেষ্ট্রির মতো চিনি সমৃদ্ধ খাবার এড়িয়ে চলুন।
৪) সোডা জাতীয় পানীয়: গরমে গলা ভেজাতে সোডা জাতীয় পানীয় বেশ জনপ্রিয়। কিন্তু এই ধরনের রঙিন পানীয় খাওয়ার প্রবণতায় শরীরে ক্ষতি বই লাভ হয় না। এগুলি প্রাথমিক ভাবে ক্লান্তিনাশক মনে হলেও আসলে এই জাতীয় পানীয় সবচেয়ে বেশি ক্লান্তিকর।
৫) অ্যালকোহল: ছুটির দিনে বন্ধুদের সঙ্গে হইহুল্লোড়ে মেতে উঠতে বা ঘরোয়া কোনও উৎসব উদ্যাপনে একটু আধটু মদ্যপান অনেকেই করে থাকেন। কিন্তু মদ্যপান কিন্তু সব সময়ে চনমনে থাকার কারণ না-ও হতে পারে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই অ্যালকোহল জাতীয় পানীয় শরীরে একটা ক্লান্তি ডেকে আনে। মদ খেয়ে অনেকেরই এই কারণে ঘুম পায়।