কোন উপসর্গগুলি স্তন ক্যানসারের ইঙ্গিত দেয়? ছবি: সংগৃহীত।
৩০ পেরোনো ভারতীয় মহিলাদের স্তন ক্যানসারের থেকে বড় ভয় সম্ভবত আর কিছু নেই। চিকিৎসকরা বলছেন, স্তন ক্যানসারের ক্ষেত্রে রোগ নির্ণয়ের চাবিটি থাকে আক্রান্তের কাছেই। স্তন ক্যানসারের ক্ষেত্রে ‘সেল্ফ ডিটেকশন’-এর কোনও বিকল্প নেই এ ক্ষেত্রে। ভারতে ইদানীং স্তন ক্যানসারে আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। বয়স ৩০ পেরোলেই, শরীরে কোনও রকম অস্বস্তি থাক বা না থাক, চিকিৎসকদের কাছে গিয়ে বছরে এক বার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো ভীষণ জরুরি। মনে রাখবেন, স্তনের সব লাম্প বা টিউমারই কিন্তু ক্যানসার নয়। বরং ১০-১৫ শতাংশ টিউমারের ক্ষেত্রে এই ভয় থাকে। তবে প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসা শুরু হলেই কিন্তু এই রোগের সঙ্গে লড়াই করা সম্ভব।
কী ভাবে বুঝবেন, এমন ঘোরতর অসুখ শরীরে বাসা বাঁধছে কি না? স্তনে তৈরি হওয়া মাংসের পিণ্ড সব সময় চামড়ার আড়ালেই থাকে। এ ছাড়া স্তনবৃন্তের আশপাশেও এই ধরনের দলা থাকলে তা এড়িয়ে যাবেন না। মাংসপিণ্ডগুলি টিপলে যদি শক্ত লাগে, তা হলে অতি অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যান। আর কোন কোন লক্ষণ দেখলে চিকিৎসকের কাছে ছুটতে হবে, জেনে নিন।
১) স্তনবৃন্ত থেকে অকারণে তরলের ক্ষরণ হলে সতর্ক হতে হবে। এটি কিন্তু স্তন ক্যানসারের অন্যতম উপসর্গ হতে পারে।
২) স্তনে কোনও রকম র্যাশ কিংবা চুলকানির মতো অস্বস্তি হলে কিন্তু ফেলে রাখবেন না। স্তন ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে এগুলিও।
কাঁধ এবং ঘাড়ের ব্যথাও স্তন ক্যানসারের অন্যতম উপসর্গ। ছবি: সংগৃহীত।
৩) কাঁধ এবং ঘাড়ের ব্যথাও কিন্তু স্তন ক্যানসারের অন্যতম উপসর্গ। কোনও কারণ ছাড়াই কাঁধে ব্যথা হলে নিজের মতো ব্যথা উপশমের পথ না খুঁজে, চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
৪) স্তনের আকার বদলে যাওয়াও স্তন ক্যানসারের অন্যতম ইঙ্গিত। স্তনের আকার বিকৃত হলে কখনও ফেলে রাখবেন না।
৫) অন্তর্বাস পরে থাকার সময় যদি ঘর্ষণ বা ছড়ে যাওয়ার মতো কোনও অনুভূতি হয় কিংবা উপুড় হয়ে শুলে যদি ব্যথা লাগে, তবে চিকিৎসকের কাছে যেতে দেরি করবেন না। স্তনে কোনও রকম সাড় পাওয়া না গেলেও সতর্ক থাকুন।