প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
বলিউড তারকা থেকে সাধারণ মানুষ— রোগা হতে অনেকেই ‘ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং’ করে থাকেন। ডায়েটের বিভিন্ন ধরন রয়েছে। তবে দ্রুত ওজন ঝরাতে অনেকেই ১৪ কিংবা ১৬ ঘণ্টার বিরতিতে খাওয়ার এই ডায়েট বেছে নেন। ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং করলেই তাড়াতাড়ি ওজন ঝরবে, এই ধারণা রয়েছে অনেকেরই। তা যে ভুল, পুষ্টিবিদেরা তা বার বারই বলে থাকেন। ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং করার কিছু নিয়ম রয়েছে। সেগুলি না মেনে চললে ওজন ঝরানোর স্বপ্ন অধরা থেকে যায়। অনেকেই এই ধরনের ডায়েট করেও সুফল পান না। সে ক্ষেত্রে মানসিক ভাবে ভেঙে না পড়ে অন্য পথে হাঁটা জরুরি। রোগা হওয়ার তো আরও কিছু উপায় রয়েছে। সেগুলি নিষ্ঠার সঙ্গে মেনে চললে উপকার মিলবে।
বাইরের খাবার ওজন বেড়ে যাওয়ার জন্য দায়ী। ছবি: সংগৃহীত।
১) বাইরের খাবার হল ওজন বেড়ে যাওয়ার জন্য দায়ী। রোগা হওয়ার জন্য তাই প্রথমেই জীবন থেকে বাদ দিতে হবে ভাজাভুজি, বাইরের খাবার। মরসুমি ফল আর সব্জি বেশি করে খান। জল কম খেলে চলবে না।
২) যতটা সম্ভব বাড়ির খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। অনেকেই ব্যস্ততার কারণে বাড়িতে রান্না করার সুযোগ পান না। অগত্যা অফিসে গেলে বাইরের খাবারই ভরসা। দীর্ঘ দিন ধরে বাইরের খাবার খাওয়ার ফলে ওজন বাড়তে থাকে। তাই রোগা হতে চাইলে বাড়ির খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন।
৩) রোগা হতে চাইলে শরীরচর্চার বিকল্প নেই। মাঝেমাঝে নয়, নিয়মিত ৩০ মিনিটের জন্য হলেও ব্যায়াম করা জরুরি। অনেকেই জিমে যান। সে ক্ষেত্রে ঘাম ঝরানো আরও অনেক সহজ হয়ে যায়।
৪) পর্যাপ্ত ঘুম হল রোগা হওয়ার সহজ উপায়। ঘুমের ঘাটতি ওজন বাড়িয়ে দেয়। তাই ঘুম ভাল হওয়া জরুরি। ব্যস্ততা আর কাজের চাপেও সময় বার করে ঘুমিয়ে নিতে হবে। না হলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা মুশকিল হবে।
৫) রোগা হওয়ার জন্য যে রুটিনই মেনে চলুন, তাতে যেন ধারাবাহিকতা থাকে। অনিয়মিত কোনও কিছুই ফলদায়ক নয়। সকাল থেকে যে রুটিন মেনে রোগা হওয়ার পথে হাঁটছেন, তাতে যেন বিরতি না পড়ে।