ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হলে মহিলাদের অনেক বেশি সতর্ক থাকা উচিত। ছবি: সংগৃহীত
পুরুষ ও মহিলা, সকলের মধ্যেই দিন দিন বাড়ছে ডায়াবিটিস। তবে পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের ডায়াবিটিস হলে সমস্যা আরও বাড়তে পারে বলে মত চিকিৎসকদের একাংশের। মহিলারা ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হলে হৃদ্রোগ বা অবসাদের মতো সমস্যা হতেও পারে। ডায়াবিটিসের কারণে কম বয়সে চোখ খারাপ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও থেকে যায়। এ ছাড়াও ‘পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম(পিসিওস)’-এর মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে। ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হলে মহিলাদের অনেক বেশি সতর্ক থাকা উচিত। শুধু বয়স্ক মহিলাদের মধ্যেই নয়, ডায়াবিটিসের সমস্যা ইদানীং কমবয়সিদের মধ্যেও দেখা যাচ্ছে। কমবয়সে আক্রান্ত হলে মহিলাদের ঋতুবন্ধের সময় এগিয়ে আসতে পারে। মহিলারা ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হলে তাঁদের জীবনধারাতে বদল আনা জরুরি। প্রতি দিনের খাদ্যতালিকাতেও পরিবর্তন আনা প্রয়োজন।
ছবি: সংগৃহীত
ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হলে মহিলারা কী কী খাবেন?
পিনাট বাটার
ইনসুলিনের ক্ষরণ স্বাভাবিক রেখে ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে পিনাট বাটার বেশ উপকারী। এর পাশাপাশি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতেও পিনাট বাটার বেশ সহায়ক।
স্ট্রবেরি
ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ স্ট্রবেরি শরীরের যেকোনও রকম সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে সহায়ক। ডায়াবিটিস আক্রান্তদের জন্যে স্ট্রবেরি বেশ উপকারী। স্ট্রবেরিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, কে, ম্যাঙ্গানিজ, পটাশিয়াম ও ফোলেট। যা ইনসুলিনের ক্ষরণ কমাতেও সাহায্য করে। এ ছাড়া স্ট্রবেরির মধ্যে প্রচুর ফাইবারও আছে।
সামুদ্রিক মাছ
ওমেগা৩ ফ্যাটি অ্যাসি়ড সমৃদ্ধ সামুদ্রিক মাছ ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি হৃদ্রোগ থেকেও দূরে রাখতে সাহায্য করে। ইনসুলিনের ক্ষরণ ও অন্যান্য হরমোনের কার্যকারিতা ঠিক রাখতেও সামুদ্রিক মাছ অত্যন্ত সহায়ক।
শাকসব্জি
শুধু ডায়াবিটিস বলে নয়, যেকোনও রকম রোগ প্রতিরোধ নিয়ন্ত্রণ করতে শাকসব্জি অত্যন্ত উপকারী। পালং শাক, বাঁধাকপি, ব্রকোলি, ক্যাপসিকাম, গাজর, ফুলকপি ইত্যাদি অ্যান্টিঅক্সি়ড্যান্ট ও ভিটামিন সমৃদ্ধ নানা মরসুমি শাকসব্জি রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
বাদাম
আখরোট, সিয়া বীজ, হেজেল নাট ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। এই বাদামগুলিতে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ খুবই কম। বদলে প্রোটিন, ফ্যাট, ফাইবার প্রচুর পরিমাণে থাকে।