সকালের মেনুতে কোন খাবার? ছবি: সংগৃহীত।
দিনের শুরুটা কারও কারও এক কাপ চা ছাড়া হয় না। কেউ আবার পছন্দ করেন কফি। তবে যদি সকালেই মিষ্টির দোকান চোখে পড়ে, তাহলে মনে হবে গরম ফুলকো কচুরি, সঙ্গে আলুর তরকারি, তার সঙ্গে মিষ্টি আর দুধ চা-ই বোধহয় আদর্শ খাবার! জিভের জন্য তো বটেই, কিন্তু শরীরের জন্যেও কি তাই?
বেশিরভাগ মধ্যবিত্ত বাড়িতেই সকালের জল খাবারে থাকে রুটির সঙ্গে তরকারি। শহরে অবশ্য মেনু কিঞ্চিত বদলে ওট্স, ব্রাউন ব্রেড জায়গা করে নেয়। তবে গ্রামে গেলে তরকারি দিয়ে মুড়ি খাওয়াটাই রীতি। আসলে পেট ভরানো নিয়ে তো কথা! কিন্তু আসলে বিষয়টা তাই কি!
সকালের জলখাবার কেন জরুরি?
লম্বা ঘুমের পর সকালের প্রথম খাবার খুব জরুরি, বলছেন চিকিৎসক থেকে পুষ্টিবিদেরা। কারণ, দীর্ঘক্ষণ পর পেটে খাবার যায়। এই সময় মস্তিষ্ক, পেশির কর্মক্ষমতা শ্লথ হয়। রক্তে শর্করার মাত্রাও কম থাকে। তাই এই সময় এমন কিছু খাবার প্রয়োজন, যা দ্রুত শরীরকে শক্তি জোগায়। সেই খাবারে শর্করা, প্রোটিন, গুড ফ্যাট, তরল, ফাইবারের নির্দিষ্ট মাত্রা থাকা দরকার।
সকালের খাবারে কী কী রাখবেন?
১. প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার যেমন বাদামের মাখন, রকমারি বাদাম যেমন আখরোট, কাঠবাদাম, চিজ়, ডিমের মধ্যে কোনও কিছু রাখা দরকার সেই তালিকায়।
২. ভিটামিন, খনিজের জন্য সঙ্গে জুড়তে হবে মরসুমি ফল ও সব্জি।
৩. ওট্স, কিনোয়া, মাল্টি গ্রেন ব্রেড-- এর মধ্যে যে কোনও একটি বেছে নিতে পারেন সকালের খাবারে। এতে থাকে ফাইবার। রক্তে শর্করার মাত্রার ভারসাম্য রক্ষা করতে এই ধরনের খাবার সাহায্য করে।
৪. শরীরের জন্য ‘হেলদি ফ্যাট’ ভীষণ জরুরি।সকালের খাবারে যাতে আখরোট, কাঠবাদাম, কাজুর মধ্যে কোনও একটি থাকে, তা দেখতে হবে। চাইলে বিভিন্ন বাদাম মিশিয়েও খাওয়া যেতে পারে।
৫. কফি তাৎক্ষণিক ভাবে শরীর ও মন চাঙ্গা করলেও এর কিছু ক্ষতিকর দিক রয়েছে। অতিরিক্ত কফি খেলে জলশূন্যতার সমস্যা দেখা দিতে পারে। বদলে ভেষজ চা-পান শরীরকে বাড়তি পুষ্টি জোগাবে।
৬. কোনও কোনও পুষ্টিবিদ মনে করেন গেঁজানো মিশ্রণ দিয়ে তৈরি ইডলি, দোসা, উত্তাপম জলখাবারের মেনুতে রাখা ভাল।এতে পেট ভাল থাকে।
কোন ভুল নয়
১. জলখাবার বাদ দেওয়া যাবে না
২. চিনি জাতীয় খাবার বাদ দিতে হবে। বাজারচলতি ফলের রসের বদলে টাটকা ফলের রস বেশি ভাল।
৩. অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিতে হবে।
৪. একইরকম খাবার রোজ না খেয়ে শর্করা, প্রোটিন, ফ্যাটের দিকে নজর রেখে মেনু বদল প্রয়োজন।