ছবি: সংগৃহীত।
পুজোর আগে ওজন কমাবেন বলে উঠেপড়ে লেগেছেন। ডায়েটও শুরু করেছেন। ডায়েটের ১৫ দিন পূর্ণও হয়ে গিয়েছে। কিন্তু ওজন মাপতে গিয়ে মন ভেঙেছে। ওজনের পারদ যেখানে ছিল, সেখানেই আছে। কেন এমন হচ্ছে সেই ভাবনা সারা ক্ষণ মন জুড়ে রয়েছে। পুষ্টিবিদেরা জানাচ্ছেন, শুধু ডায়েট করলে চলে না। নির্দিষ্ট সময়ে খেতে হবে খাবার। সময়ে না খেলেই হিতে বিপরীত হতে পারে।
ভাত
ভাতের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স অনেক বেশি। যা রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। তাই যদি ভাত খেতেই হয়, সে ক্ষেত্রে সকালে খেয়ে নেওয়াই ভাল। যেহেতু সকালের দিকে শরীরে বিপাকহারের পরিমাণ বেশ ভাল থাকে। তাই ভাতের মতো উচ্চ ক্যালোরি এবং কার্বযুক্ত খাবার সহজেই হজম হয়ে যায়। রাতে হজমশক্তি এতটা উন্নত থাকে না।
দুধ
দুধে সাধারণত দু’রকম প্রোটিন থাকে। যেগুলি রাতের ঘুমের পক্ষে সহায়ক। পুষ্টিবিদদের মতে, ওজন ঝরানো এবং পেশি মজবুত করার লক্ষ্যে যাঁরা জিম করেন, তাঁরা শরীরচর্চা করার পর দুধ খেতে পারেন। কিন্তু সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে দুধ না খাওয়াই ভাল।
ফল
ফলের মধ্যে সামান্য হলেও কার্ব রয়েছে। তাই জলখাবার খাওয়ার পর এবং দুপুরের খাবার খাওয়ার ঘণ্টা দুয়েক আগে ফল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদরা। তবে অনেকেই সকালের জলখাবারের সঙ্গে ফল খেয়ে থাকেন। এই অভ্যাসও ভাল নয় মোটেই। ঠিক তেমনই রাতে খাবার শেষে আম খাওয়ার অভ্যাস থেকেও বিরত থাকতে হবে।