শরীরের যত্ন নিতে ফল খাওয়া দস্তুর। ছবি: সংগৃহীত
শরীরে যত্নে ফলের ভূমিকা আলাদাই। খালি পেটে জল আর ভরা পেটে ফল— এটাই নাকি সুস্থ শরীরের আসল মন্ত্র। ফল শরীরের অনেক রোগের ঝুঁকি নিমেষে কমায়। ডায়াবিটিস, কোলেস্টেরল তো আছেই। সেই সঙ্গে হৃদ্রোগের ঝুঁকিও কমায় ফল। ক্যানসারের মতো মারণরোগের জীবাণুনাশক হিসাবেও কাজ করে নানা মরসুমি ফল। বেশ কিছু শারীরিক অসুস্থতার ক্ষেত্রে চিকিৎসকরা বেশি করে ফল খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। ফলের স্বাস্থ্যগুণ শেষ হওয়ার নয়।
শরীরের যত্ন নিতে ফল খাওয়া দস্তুর। পাশাপাশি কখন খাচ্ছেন, সেটাও কিন্তু সমান জরুরি। অনেকের মনে হতেই পারে, ফল খাওয়ার আবার আলাদা সময় আছে নাকি। পুষ্টিবিদরা অবশ্য এর উত্তরে সম্মতি জানিয়েছেন। ফল খাওয়ার নির্দিষ্ট সময় রয়েছে। ফলের অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট গুণ মূত্রাশয়ের সংক্রমণ দূর করে। তবে এত কিছু সুফল মিলবে তখনই যখন, পর্যাপ্ত সময়ে ফল খাবেন। অনেকেরই ভরা পেটে ফল খাওয়ার অভ্যাস। এটাই কি সঠিক নিয়ম? পুষ্টিবিদদের মতে, ব্যক্তি ভেদে ফল খাওয়ার সময় পরিবর্তিত হয়। কারা কখন ফল খেলে পাবেন বাড়তি সুবিধা?
ওজন কমাতে চাইছেন
ফলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। যাঁরা ওজন কমাতে চাইছেন তাঁদের জন্য ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার এমনিতেই বেশ কার্যকর। তা ছাড়া ফাইবার দ্রুত পেট ভরাট করার মতো অনুভূতি তৈরি করে। তাই খাওয়ার আগে ফল খেলে দ্রুত পেট ভর্তি হয়ে যায়। খাবারে থাকা ক্যালোরির পরিমাণ অনেকটা কমে যায়।
ফলের স্বাস্থ্যগুণ শেষ হওয়ার নয়। ছবি: সংগৃহীত
ডায়াবিটিস থাকলে
ডায়াবিটিসের রোগীরা সব ফল খেতে পারেন না। যেহেতু ফলে শর্করা বেশি থাকে তাই মধুমেহ রোগীদের ফল খেতে হয় মেপে। কিন্তু অন্য কোনও ভারী খাবার বা অধিক প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবারের সঙ্গে ফল খেলে ক্ষুদ্রান্ত্রে শর্করার শোষণের গতি কমে যায়। তাই রক্তে শর্করার মাত্রা আচমকা বৃদ্ধি পায় না।
অন্তঃসত্ত্বাকালীন অবস্থায়
অনেক সময় অন্তঃসত্ত্বা থাকার সময় হবু মায়ের শরীরে ডায়াবিটিস দেখা যায়। হরমোনের ভারসাম্য বিগড়ে গিয়ে এমনটা ঘটে বলে মত চিকিৎসকের। এই ধরনের সমস্যা থাকলে সকাল সকাল বেশি পরিমাণ ফল খাওয়া ভাল নয়। খালি পেটে ফল খেলে আচমকা বেড়ে যেতে পারে রক্তের শর্করার মাত্রা।