দুশ্চিন্তাজনিত মলত্যাগের সমস্যা কমবে কোন পথে? ছবি: সংগৃহীত
অনেক সময় দুশ্চিন্তা বা উদ্বেগে ভোগা মানুষদের মধ্যে আকস্মাৎ মলত্যাগের প্রবণতা দেখা যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর পিছনে রয়েছে ‘ইরিটেবল বাওল সিনড্রোম’ বা ‘আইবিএস’। এটি এক ধরনের পরিপাক তন্ত্রের সমস্যা। এই সমস্যায় মলত্যাগের প্রবণতায় আকস্মিক কিছু পরিবর্তন দেখা যায়।
কেন হয় এমন?
বিশেষজ্ঞদের মতে, মস্তিষ্ক বিভিন্ন স্নায়ুদ্বারা খাদ্যনালীর সঙ্গে যুক্ত। তাই খাদ্যনালীর কোনও সমস্যা দেখা দিলে যেমন সঙ্কেত পায় মস্তিষ্ক, তেমনই মস্তিষ্কের অসুবিধাও অনেক সময় প্রকাশ পায় পেট খারাপের মধ্য দিয়ে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এই সমস্যা খুব একটা গুরুতর না হলেও দীর্ঘ দিন অবহেলা করলে এই ইরিটেবল বাওল সিনড্রোম দীর্ঘস্থায়ী পেটের গোলযোগ ও আলসারের মতো রোগ ডেকে আনতে পারে। তবে অনেক সময় এই অসুখ গুরুতর কোনও অন্তর্নিহিত সমস্যার সঙ্কেতও হতে পারে। তাই এই ধরনের সমস্যা দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই বাঞ্ছনীয়।
কোন পথে আরাম?
সমস্যা যদি গুরুতর না হয় তবে ঘরোয়া কিছু টোটকায় কিছুটা হলেও আরাম মিলতে পারে এই রোগে।
১। মানসিক চাপ যেহেতু এই সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে বহুলাংশে, তাই চেষ্টা করতে হবে মানসিক চাপ কমাতে।
২। কারও কারও মতে এই ধরনের পেটের সমস্যায় উপশম মিলতে পারে আদা খেলে। এক টুকরো আদার কুচি চিবিয়ে খেলে এই ধরনের সমস্যায় উপকার মিলতে পারে।
৩। অতিরিক্ত চা-কফি খাওয়া কমালে মিলতে পারে আরাম। অনেকে আবার দুশ্চিন্তার সময়ে কফি খান। কিন্তু এতে হিতে বিপরীত হওয়ার আশঙ্কাই বেশি, কফিতে থাকে ‘ক্যাফিন’ যা খাদ্যনালীকে আরও উদ্দীপিত করে। ফলে পেটের সমস্যা আরও বেড়ে যায়।
৪। নিয়মিত শরীরচর্চা করলে কমতে পারে ইরিটেবল বাওল সিনড্রোম। সপ্তাহে অন্তত ৫ দিন ১৫-৩০ মিনিট অবশ্যই শরীরচর্চা, শ্বাসের ব্যায়াম, যোগাভ্যাস বা ধ্যান করুন। অনেক সময় এই ধরনের অভ্যাস মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে যা পরোক্ষ ভাবে পেটের সমস্যা কমায়।
৫। যে কোনও ধরনের নেশাই স্নায়ু তন্ত্রের উপর খারাপ প্রভাব ফেলে। তাই ধূমপান ও মদ্যপান বর্জন করার চেষ্টা করুন। অতিরিক্ত মদ্যপান খাদ্যনালি ও লিভারের সমস্যা বাড়িয়ে দেয়, যা ইরিটেবল বাওল সিনড্রোমও বাড়িয়ে দিতে পারে।