বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় বেশি বয়সে মা হওয়ার পর অ্যাডিনোমায়োসিসের সমস্যা হতে পারে। ছবি: শাটারস্টক।
ইদানীং খাওয়াদাওয়ায় অনিয়ম, দূষণ, শরীরচর্চায় অনীহার কারণে অনেক মেয়েরই ঋতুস্রাবের সময়ে খুব বেশি রক্ত ক্ষয় হয়। দশ জনের মধ্যে ৭ জন মেয়েরই ঋতুস্রাবের সময়ে অতিরিক্ত পেটে ব্যথাও হয়ে থাকে। নানা রকম শারীরিক জটিলতা থাকলে এমনটা হতে পারে। কিন্তু এর অন্যতম কারণ হতে পারে জরায়ুর জটিল রোগ অ্যাডিনোমায়োসিস। কী এই রোগ, কী তার উপসর্গ?
অ্যাডিনোমায়োসিস রোগটি কী?
জরায়ুর চারপাশে যে পেশির স্তর রয়েছে, সেখানে যদি এন্ডোমেট্রিয়াল গ্রন্থি বা স্ট্রোমা তৈরি হয়, তা হলে তাকে বলে অ্যাডিনোমায়োসিস। এতে জরায়ুর আকার অনেকটা পৃথিবীর মতো হয়ে যায় এবং অনেকটাই বড় হয়ে যায়। এটি জরায়ুর এক অংশে হতে পারে, আবার গোটা জরায়ু জুড়েও হতে পারে। কিন্তু মনে রাখাতে হবে, এন্ডোমেট্রিয়োসিস রোগটির সঙ্গে এর কোনও যোগ থাকতেও পারে আবার না-ও পারে। এই রোগের স্পষ্ট কারণ এখনও সে ভাবে জানা যায়নি। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় বেশি বয়সে মা হওয়ার পর এই ধরনের সমস্যা হতে পারে।
মিলনের সময় তীব্র যন্ত্রণা অ্যাডিনোমায়োসিসের উপসর্গ হতে পারে। ছবি: শাটারস্টক।
কী কী উপসর্গ দেখে সতর্ক হবেন?
রোগ কতটা গুরুতর, তার উপর উপসর্গ নির্ভর করে। বেদনাদায়ক ঋতুস্রাব, অতিরিক্ত রক্তক্ষয়, পেট ফুলে থাকা, শ্রোণিতে ব্যথা (যা রোগ আরও জটিল হলে আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে) এবং বন্ধ্যাত্বের মতো সমস্যা, মিলনের সময় তীব্র যন্ত্রণা এই রোগের উপসর্গ হতে পারে।
কখন চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে?
যদি দেখেন ঋতুস্রাবের সময়ে অতিরিক্ত ব্যথা এবং রক্তক্ষয় হচ্ছে (এতটাই যে রোজের কাজ করতে অসুবিধা হচ্ছে) এবং মা হতেও সমস্যা হচ্ছে, তা হলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।