অনেকের কাছে উপুড় হয়ে শোয়ার ভঙ্গিটি বেশ আরামদায়ক। ছবি: সংগৃহীত
অনেকেই আছেন রাতে শোয়ার সময়ে চিৎ হয়ে না শুয়ে উপুড় হয়ে ঘুমাতে বেশি পছন্দ করেন। অনেকের কাছে উপুড় হয়ে শোয়ার ভঙ্গিটি বেশ আরামদায়ক। মাথার তলায় বালিশ রাখার বদলে বুকের নীচে বালিশ রেখে ঘুমের দেশে পাড়ি দিতেই তাঁদের ঝোঁক বেশি। এ ছাড়া অনেকেই উপুড় হয়ে বই পড়তে বা লেখালেখি করতেও ভালবাসেন।
চিকিৎসকরা সব সময়ে উপুড় হয়ে শোয়ার বদলে চিৎ হয়ে ঘুমানোর পরামর্শ দিয়ে এসেছেন। চিৎ হয়ে শুলে শ্বাসকষ্টের সমস্যা, কোমরে ব্যথা এমনকি ত্বকের সমস্যারও অনেক উপকার পাওয়া যায়।
ছবি: সংগৃহীত
পরিবর্তে উপুর হয়ে শুলে মেরুদণ্ড বা অন্ত্রের উপর চাপ পড়ে। দীর্ঘদিন ধরে উপুড় হয়ে শোয়ার অভ্যাস ঘাড় ও পিঠে ব্যথার কারণ হতে পারে। উপুড় হয়ে শোয়ার ফলে শ্বাস-প্রশ্বাসের স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার উপর বিরূপ প্রভাব পড়ে। এর ফলে অনেক সময়ে ঘুমের ব্যঘাতও ঘটে। আর পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে শারীরিক নানা জটিলতাও দেখা দিতে পারে।
যে কাজগুলি এত দিন উপুড় হয়ে করে এসেছেন, এ বার সেগুলি বসে করার অভ্যাস করুন। চেয়ারে বসে কাজ করুন। তবে চেয়ারে বসে কাজ করছেন মানেই সব সময়ে হেলান দিয়ে বসবেন না। সামনের দিকে ঝুঁকে বসে কাজ করাই শরীরেরে জন্য উপকার।