জোয়ান জলে চিয়া মিশিয়ে খেলে কী লাভ? ছবি: সংগৃহীত।
উৎসবের আবহে দেদার বাইরের খাবার খাওয়া চলে। কোর্মা, কালিয়া থেকে এগরোল, মোগলাই সেই তালিকায় বাদ যায় না কিছুই। এমনকি উৎসবের সময় বাড়ির খাবারেও তেল-মশলার আধিক্য বেশি থাকে। একটানা মশলাদার খাবার খাওয়ার একটাই পরিণতি, পেট ফাঁপা, গ্যাস-অম্বলের সমস্যা। এই ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই জোয়ান ভেজানো জল খান। জোয়ান গ্যাস-অম্বলের খুব ভাল দাওয়াই। পেট ফেঁপে ফুলে উঠলে এক গ্লাস জোয়ান জল খেলে দ্রুত স্বস্তি পাওয়া যায়। জোয়ানে ফাইবারের পরিমাণ অনেক বেশি। আর ফাইবার হল হজমে সহায়ক উপাদান। ফলে যেকোনও খাবার সহজে দ্রুত হজম হয়। খালিপেটে জোয়ানের জল খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করলে এমনিতেই এই ধরনের যাবতীয় সমস্যা দূরে চলে যায়। আলাদা করে আর অ্যান্টাসিড খাওয়ার দরকার প়ড়ে না। গ্যাস-অম্বল, পেটের অন্যান্য গোলমাল দেখা দিলেই ঈষদুষ্ণ জলে জোয়ান ভিজিয়ে খেয়ে নিলেই, অনেকটা আরাম বোধ হয়। তবে এই জোয়ান জলে যদি খানিকটা চিয়াবীজও মিশিয়ে নেন, তা হলে কি বাড়তি কোনও সুফল পাওয়া যাবে?
চিয়া শরীরের বাড়তি মেদ কমাতে সাহায্য করে। ডায়েটে চিয়া রাখলে সত্যিই উপকার পাওয়া যায়। তবে হজমের গোলমাল কমাতেও চিয়ার যে ভূমিকা রয়েছে, তা অনেকেই জানেন না। চিয়া খেলে কেন গ্যাস-অম্বল থেকে দ্রুত মুক্তি পাওয়া যায়?
চিয়াতে উপকারী উপাদানের শেষ নেই। প্রতিটি উপাদানই যথেষ্ট উপকারী। চিয়া যদি রোজ খাওয়া যায় তা হলে গ্যাস, অম্বল ঘন ঘন হওয়ার সুযোগ পাবে না। চিয়ায় রয়েছে আরও অনেক উপাদান, শরীরে অন্য অনেক সমস্যা দূরে রাখে। চিয়ায় রয়েছে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, যা হার্ট ভাল রাখতে সাহায্য করে। প্রদাহজনিত সমস্যা দূর করে। তা ছাড়া চিয়া হল অন্যতম উপকারী প্রাণিজ প্রোটিন। এই কারণে চিয়া খেলে দীর্ঘ ক্ষণ পেট ভর্তি থাকে। ফলে সহজে ঘন ঘন খাবার খাওয়ার প্রবণতা তৈরি হয় না।