লোকে যা-ই বলুক, কোলবালিশ নিয়ে ঘুমের অভ্যাস ছাড়ার দরকার নেই। বরং এই অভ্যাস শরীরের উপকার করতে পারে। প্রতীকী ছবি।
কোলবালিশ না থাকলে ঘুম আসে না অনেকের। পাশ থেকে সাধের বালিশ সরিয়ে নিলে ঘুম ভেঙেও যায় বহু সময়ে। কোলবালিশ নিয়ে ঘুমের অভ্যাস এমনই, যা সহজে ছাড়ানোও যায় না। অথচ কোলবালিশ নিয়ে ঘুমের অভ্যাস বহু সময়ে ছাড়তে বলা হয়।
কিন্তু কেন ছাড়তে বলা হয় কোলবালিশ ব্যবহারের অভ্যাস? জানেন কি নিয়মিত হাঁটুর মাঝে কোলবালিশ নিয়ে ঘুমালে কী হয়? অনেকেই এ বিষয়ে তেমন কোনও তথ্য জানেন না। কিন্তু ঘরে ঘরে রয়েছে কোলবালিশ নিয়ে ঘুমের অভ্যাস। তাই জেনে নেওয়াও জরুরি যে এই অভ্যাস শরীরের উপর কোনও রকম কুপ্রভাব ফেলতে পারে কি না।
লোকে যা-ই বলুক, কোলবালিশ নিয়ে ঘুমের অভ্যাস ছাড়ার দরকার নেই। বরং এই অভ্যাস শরীরের উপকার করতে পারে।
পিঠের নীচের অংশে ব্যথা আছে? তা হলে সাহায্য করতে পারে কোলবালিশ। প্রতীকী ছবি।
কী হয় কোলবালিশ নিয়ে ঘুমালে?
১) দু’পায়ের মাঝে কোলবালিশ নিয়ে শুলে, ঘুমের সময়েও মেরুদণ্ড থাকে স্বাভাবিক ভঙ্গিতে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ঘুমের সময়ে অঙ্গভঙ্গি ঠিক না থাকলে, পরে নানা ধরনের হাড়ের সমস্যা হতে পারে। কোলবালিশের নিয়মিত ব্যবহার তা থেকে বাঁচতে সাহায্য করতে পারে।
২) পিঠের নীচের অংশে ব্যথা আছে? তা হলে সাহায্য করতে পারে কোলবালিশ। কোলবালিশ পায়ের মাঝে থাকলে কোমর ও পিঠের নীচের অংশ যে ভঙ্গিতে থাকে, তাতেই আরাম মেলে।
৩) ‘সি’ কিংবা ‘টি’-এর মতো বিশেষ আকারের কোলবালিশ ব্যবহার করলে আরাম পাবেন অন্তঃসত্ত্বা। এতে ঘুমের সময়ে মেরুদণ্ড যেমন আরামদায়ক অবস্থায় থাকে, তেমনই ঠিক থাকে ভ্রূণের অবস্থান।