খেয়ে উঠেই ঘুমিয়ে পড়ার অভ্যাস আসলে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে ঘুমেরই। ছবি: সংগৃহীত
সারা দিন অফিসে প্রচুর পরিশ্রম হয়েছে। ক্লান্ত হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। পরিষ্কার হয়ে কোনও মতে নাকেমুখে দুটি গুঁজেই শুয়ে পড়লেন। ঘুমিয়েও পড়লেন। কিন্তু জানেন কি খেয়ে উঠেই ঘুমিয়ে পড়ার অভ্যাস আসলে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে ঘুমেরই। বিশেষ করে যদি নৈশভোজের পরিমাণ বেশি থাকে।
পুষ্টিবিদরা বলছেন, রাতে খাওয়া ও ঘুমানোর মধ্যে অন্তত ৩ ঘণ্টার ব্যবধান থাকা উচিত। খেয়েই শুয়ে পড়লে বদহজম, বুকজ্বালা, অম্বল, ওজন বৃদ্ধি এমনকি স্ট্রোক পর্যন্ত হতে পারে। তাই রাতের খাওয়া সেরে কিছু ক্ষণ বসে বিশ্রাম নিন। প্রয়োজনে হাঁটাহাঁটি করুন। প্রাণায়াম বা হালকা যোগাসনও করে নিতে পারেন। তবে খেয়াল রাখবে পেটে যেন চাপ না প়ড়ে।
খাওয়ার ঘণ্টা তিনেক পর ঘুমানোর অভ্যাস শরীর সুস্থ রাখবে। হজমও ভাল হবে। রাতে বুক জ্বালা বা ঘুম না আসার মতো সমস্যায় পড়তে হবে না।
তাই রাতের খাওয়া সেরে কিছু ক্ষণ বসে বিশ্রাম নিন। ছবি: সংগৃহীত
রাতের খাবারে কোন খাবারগুলি খেলে ঘুম ভাল হতে পারে?
ঘুমানোর আগে এক কাপ গরম দুধ খেতে পারেন। দুধে এক চামচ মধু মিশিয়ে নিলে ভাল ঘুম হবে। বাদাম খেতে পারেন। দুগ্ধজাত খাবার, বাদাম, খেজুর, ডিমে রয়েছে ভরপুর উপকারী উপাদান। ক্যালশিয়াম, ট্রিপটোফ্যান, ম্যাগনেশিয়াম যুক্ত এই খাবারগুলি ভাল ঘুমের পক্ষে সহায়ক।
রাতে এড়িয়ে চলবেন কোন খাবারগুলি?
অতিরিক্ত মিষ্টি ও লবণযুক্ত খাবার, চা, কফি, সোডা জাতীয় পানীয়, চকোলেট রাতে না খাওয়াই ভাল। এতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে। অনিদ্রার সমস্যা দূর করতে রাতে ধূমপান করা থেকেও করা থেকেও বিরত থাকা প্রয়োজন।