কোন ফল খেলে রক্তের শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার ভয় নেই? ছবি: সংগৃহীত।
এক বার ডায়াবিটিস ধরা পড়লে খাওয়াদাওয়ায় চলে আসে হাজার রকম বিধিনিষেধ। যা গরমে পড়েছে, এই পরিস্থিতিতে শরীর চাঙ্গা রাখতে ডায়েটে বেশি করে ফল রাখার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। তবে ডায়াবিটিসে যেমন মিষ্টি খেতে নিষেধ করা হয়, তেমনই নিষেধাজ্ঞা থাকে বিভিন্ন ধরনের কার্বোহাইড্রেটের উপর। এর পাশাপাশি ডায়াবেটিকদের ফলও খেতে হয় বাছাই করে। কোন ফলের মিষ্টত্বের পিছনে ঠিক কতটা শর্করা আছে, তা জেনে নেওয়া দরকার। যাঁদের ডায়াবিটিসের সমস্যা রয়েছে, অন্তত তাঁদের এ কথা জানতেই হবে। শরীর চাঙ্গা রাখতে রোজের ডায়েটে কোন কোন ফল রাখতে পারেন ডায়াবেটিকরা, রইল হদিস।
পেয়ারা: এই ফলের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ১২। সারা বছর ধরেই বাজারে এই ফলের দেখা মেলে। ডায়াটারি ফাইবার, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর মাত্রায় থাকে পেয়ারায়। হজমশক্তি ভাল রাখতেও এই ফলের জুড়ি নেই। ডায়াবেটিকরা রোজের ডায়েটে এই ফল রাখতে পারেন।
পাকা পেঁপে: একটি বড় টুকরো পেঁপের মধ্যে ৬ গ্রাম চিনি থাকে। যেখানে একটি পাকা আমে থাকে ৪৫ গ্রাম। ফলে ডায়াবিটিসের রোগীরা পরিমিত মাত্রায় পাকা পেঁপে খেয়ে ফেলতে পারেন মধ্যাহ্নভোজ কিংবা প্রাতরাশের পর।
অ্যাভোকেডো: একটি গোটা অ্যাভোকেডোতে থাকে মাত্র ১.৩৩ গ্রাম চিনি। ডায়াবেটিকদের জন্য এই ফল আদর্শ। স্যালাডে দিন কিংবা স্যান্ডউইচে, যত ইচ্ছা অ্যাভোকেডো খাওয়ায় কোনও বাধা নেই।
স্ট্রবেরি: যে কোনও বেরি জাতীয় ফল ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য ভাল। স্ট্রবেরি, ব্লুবেরির মতো ফলে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম ফাইবার এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ। তাই নিশ্চিন্তে এই ফল খাওয়াই যায়।
লেবুজাতীয় ফল: ডায়াবেটিকরা কমলালেবু, মুসম্বির মতো ফলও খেতে পারেন। শর্করা নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি এই ফল রক্তচাপ বেশি রয়েছে, এমন রোগীদের জন্যেও উপকারী।
প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। ডায়াবেটিক রোগীরা ডায়েটে কোনও রকম পরিবর্তন করার আগে অবশ্যই চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদের সঙ্গে পরামর্শ করুন।