ক্যালশিয়ামের সমৃদ্ধ উৎস হল দুধ। ফাইল চিত্র।
শীত কিংবা গ্রীষ্ম— সারা বছর রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস করে দুধ খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে অনেকেরই। পুষ্টিবিদরাও রোজের ডায়েটে দুধ রাখার কথা বলে থাকেন। অনেকেই আবার দুধে চিনি মিশিয়ে খান। এই অভ্যাস অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর বলেই মনে করেন পুষ্টিবিদরা। একান্তই শুধু দুধ খেতে না পারলে চিনির বদলে গুড় মিশিয়ে নেওয়ার কথা বলে থাকেন পুষ্টিবিদরা। কারণ চিনির তুলনায় গুড় অনেক বেশি সহজপাচ্য। গুড়ে ক্যালশিয়ামের পাশাপাশি ফসফরাসও থাকে। এ ছাড়াও ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রনের মতো উপকারী খনিজও থাকে। চিনির তুলনায় গুড়ে মিনারেলসের পরিমাণ অনেক বেশি। মধুর সমান পুষ্টিগুণ রয়েছে গুড়েও।
অন্য দিকে দুধ হল ক্যালশিয়ামের সমৃদ্ধ উৎস। গরম দুধের সঙ্গে চিনির বদলে গুড় মিশিয়ে খেলে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়বে। রক্তাল্পতার সমস্যায় যাঁরা ভুগছেন, দুধের সঙ্গে গুড় মিশিয়ে খেতে পারেন। উপকার পাবেন। এ ছাড়াও অন্তঃসত্ত্বাকালীন অবস্থায় দুধের সঙ্গে গুড় খেলে শারীরিক ক্লান্তি দূর হবে। দুর্বলতা কাটবে।
গরম দুধের সঙ্গে গুড় মিশিয়ে খেলে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়বে। ফাইল চিত্র।
শুধু শরীর নয়, দুধ এবং গুড়ের যুগলবন্দি যত্ন নেয় ত্বকেরও। রক্ত ভিতর থেকে পরিষ্কার হয় দুধের সঙ্গে গুড় মিশিয়ে খেলে। ফলে ব্রণ, ত্বকের দাগছোপ এবং এই সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যার সহজ সমাধান করে এই পানীয়। এ ছাড়া ত্বকে কোলাজেন নামক পুষ্টির জোগান দিতেও এই দুধের সঙ্গে চিনি নয়, গুড় মিশিয়ে খেতে পারেন। এর ফলে ত্বক নরম এবং মসৃণ থাকে। এ ছাড়া অ্যামিনো অ্যাসিড-সমৃদ্ধ গুড় ত্বকে ময়েশ্চারাইজারের কাজ করে। দুধে থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ত্বকের অকালবার্ধক্য রোধ করে।
হজমের সমস্যা থাকলেও দুধ এবং গুড় সুস্থ রাখে শরীর। এ ছাড়া রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতেও দুধের সঙ্গে গুড় মিশিয়ে খেতে পারেন। দারুণ উপকার পাবেন।