Periods

Spotting Causes: ঋতুস্রাবের আগেই ‘স্পটিং’? এমনটা স্বাভাবিক, না কি জটিল রোগের লক্ষণ

অনেক সময়ই মহিলারা ‘স্পটিং’-এর সমস্যায় ভোগেন। কেন এমন হয়? আদৌ কি ‘স্পটিং’ কোনও জটিল রোগের লক্ষণ?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ জুন ২০২২ ১১:৫৬
Share:

গর্ভনিরোধক ওষুধ খাওয়ার অন্যতম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হল ‘স্পটিং’।

ঋতুস্রাব হতে এখনও বেশ কিছু দিন বাকি। অথচ শৌচাগারে গিয়ে দেখলেন খানিকটা রক্ত লেগে রয়েছে অন্তর্বাসে। তারপর বাকি দিনটায় আর এমন কিছু হল না। ফের দিন কয়েক পরে একই কাণ্ড। দিনে খুব অল্প সময়ের জন্য ফোঁটা ফোঁটা রক্তপাত। বাকি সময়টা আবার স্বাভাবিক। অনেক সময়ই মহিলারা এই প্রকার সমস্যায় ভোগেন। এই সমস্যার নাম ‘স্পটিং’। কেন এমন হয়? আদৌ কি ‘স্পটিং’ কোনও জটিল রোগের লক্ষণ?কী কী কারণে ‘স্পটিং’ হয়?

Advertisement

গর্ভনিরোধক ওষুধ: গর্ভনিরোধক ওষুধ খাওয়ার অন্যতম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হল ‘স্পটিং’। এ ছাড়াও হরমোনের ওষুধ খাওয়া শুরু করলে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। কিংবা হঠাৎ ওষুধ পাল্টালে বা ঠিক মতো রোজ ওষুধ না খেলেও ‘স্পটিং’ হতে পারে।

ওভিউলেশন: অনেকে মেয়েরই ডিম্বস্ফোটন সময়ে অল্প ‘স্পটিং’ হতে পারে। রক্তের রঙের চেয়ে একটু ফিকে হয় এর রং। ঋতুস্রাব শুরু হওয়ার ১১ দিন থেকে ২১ দিনের মধ্যে যে কোনও সময় এমন হতে পারে।

Advertisement

অন্তঃসত্ত্বা হলে: গর্ভধারণের প্রাথমিক পর্যায় ‘স্পটিং’ হতে পারে। ভ্রূণ যখন প্রথম জরায়ুতে প্রবেশ করে অনেকের সেই সময়ে সামান্য ‘স্পটিং’ হয়। তবে এমনটা যে হবেই, তার কোনও মানে নেই। ‘স্পটিং’ হওয়া মানেই ধরে নেবেন না আপনি অন্তঃসত্ত্বা। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় প্রথম ৩ মাসে ‘স্পটিং’ হতে পারে। এমনিতে খুব বেশি চিন্তার কারণ নেই। কিন্তু ‘স্পটিং’ বেড়ে যদি অনেক রক্তপাত হয়, তা হলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

প্রতীকী ছবি।

জরায়ুতে জটিলতা: ফাইব্রয়েড, পলিপ বা ক্যানসারের মতো রোগের ক্ষেত্রেও প্রথম উপসর্গ ‘স্পটিং’। পলিসিস্টিক ওভারি, এনড্রোমেট্রিয়োসিস বা অন্য কোনও টিউমার হলেও এই সমস্যা হঠাৎ দেখা দিতে পারে।

মানসিক চাপ: অনেক সময়ে মানসিক চাপ বাড়লে বা শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হলেও ‘স্পটিং’ হতে পারে।

যৌনরোগ: গনোরিয়ার মতো যৌনরোগের ক্ষেত্রেও প্রথম উপসর্গ ‘স্পটিং’। পাশাপাশি অন্য কোনও উপসর্গ রয়েছে কি না খেয়াল করুন।

ঋতুবন্ধের সময়: ৪০ থেকে ৪৫ বছরের মহিলাদের ক্ষেত্রে ঋতুবন্ধের সময় প্রতি মাসে ‘স্পটিং’-এর সমস্যা হতে পারে।

কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন?

এমনিতে ‘স্পটিং’ নিয়ে খুব বেশি চিন্তা করার প্রয়োজন নেই। স্বাভাবিক নিয়মেই বন্ধ হয়ে যায় এই সমস্যা। কিন্তু ‘স্পটিং’ হওয়ার সময় অন্য কোনও উপসর্গ দেখা যাচ্ছে কি না, তা অবশ্যই খেয়াল করতে হবে। যেমন জ্বর, পেটে অস্বাভাবিক ব্যথা, জরায়ুতে তীব্র যন্ত্রণা, মাথা ঘোরা, সঙ্গমের সময় ব্যথার মতো উপসর্গ দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement