সর্পদংশনে আতান্তরে পড়েন সলমন খান।
সম্প্রতি সাপের দংশনে মহা আতান্তরে পড়েছিলেন বলিউড অভিনেতা সলমন খান। আসলে সাপের কামড় ব্যাপারটির মধ্যেই রয়েছে এক ধরনের আতঙ্ক। কিন্তু সময় মতো চিকিৎসা করানো গেলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সর্পদংশনে বিপদের সম্ভবনা কিন্তু বেশ কম। মূলত অসচেতনতাই সাপের কামড়ে মৃত্যুর মূল কারণ বলে মত বিশেষজ্ঞদের। মাথায় রাখুন কী কী বিষয় মাথায় রাখবেন সাপের কামড়ের ক্ষেত্রে।
প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
১। অযথা আতঙ্কিত হবেন না, পরিসংখ্যান বলছে সাপের কামড়ে যত মৃত্যু হয় তার মধ্যে কেবল আতঙ্কের দরুন হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান এক বড় সংখ্যক মানুষ। বরং সম্ভব হলে কী সাপ তা দেখে রাখুন, সহজ হবে প্রতিষেধক পাওয়া।
২। আক্রান্ত অঙ্গ অযথা নাড়াচাড়া করবেন না, লম্বা কাঠ বা কাপড়ের সহায়তায় বেধে ফেলুন আক্রান্ত স্থানের উপরের দিক। কিন্তু রক্ত চলাচল করা বন্ধ হয়ে যায় এমন শক্ত করে বাঁধবেন না। অঙ্গ ও বাঁধনের মধ্যে দিয়ে যেন কষ্ট করে একটি আঙুল প্রবেশ করানো যায়।
৩। সাধারণত বিষাক্ত সাপের ছোবলে এক ইঞ্চির ব্যবধানে দুটি ছিদ্র থাকে, কিন্তু বিষহীন সাপের ক্ষেত্রে অনেক গুলি দাঁতের চিহ্ন দেখা যায়। তবে ঝুকি না নিয়ে আক্রান্তকে অবশ্যই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া দরকার।
৪। আক্রান্ত স্থানে প্রচন্ড ব্যথা, রক্তক্ষরণ, হাত পা অবশ হয়ে আসা, চোখের পাতা বন্ধ হয়ে যাওয়া, ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়া বা শ্বাসকষ্টের মতো ঘটনা ঘটলে যত দ্রুত সম্ভব আক্রান্তকে নিয়ে যাওয়া দরকার হাসপাতালে।
৫। একবিংশ শতকেও অনেকেই সাপের কামড়ের শুশ্রূষাতে ছুটে যান ওঝা গুনিনের কাছে। এই সব কুসংস্কারে সময় নষ্ট হলে বেড়ে যায় মৃত্যুর ঝুঁকি। আক্রান্ত স্থান কেটে রক্ত বার করা, মুখের সাহায্যে রক্ত বা বিষ টেনে বার করা, আক্রান্ত স্থানে কোনও রকম ভেষজ বা রাসায়নিক পদার্থ লাগানো, এই সবই মারাত্মক ভাবে বৃদ্ধি করে রোগী মৃত্যুর সম্ভাবনা।