ফুসফুসের ক্যানসার বেশ দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। প্রতীকী ছবি।
আনন্দের মরসুমেও রোগভোগ অবহেলা করা যাবে না। দীপাবলিতে বাজি পোড়ানোর ফলে বায়ুদূষণ কতটা বাড়ে কিংবা তাতে শ্বাসকষ্টের রোগীদের আদৌ সমস্যা হয় কি না, তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হচ্ছে প্রতি বছরই। কিন্তু এ বিষয়ে কোনও বিতর্ক নেই যে অত্যধিক ধোঁয়া সমস্যা ডেকে আনতে পারে ফুসফুসের ক্যানসারের রোগীদের জন্য।
যে কোনও রোগের মতোই কিছু পূর্ব সঙ্কেত থাকে ফুসফুসের ক্যানসারেরও। ক্যানসারের মতো রোগের ক্ষেত্রে সঙ্কেত চেনা কিছুটা কঠিন। রোগের সঙ্কেত যত তাড়াতাড়ি চেনা যাবে, ততই দ্রুত চিকিৎসকের সাহায্য চাওয়া যেতে পারে। বিশেষ করে ফুসফুসের ক্যানসার বেশ দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। ফলে তার লক্ষণগুলি দ্রুত চিনে নেওয়া দরকার।
১) কাশি: অনেক সময়ে ঠান্ডা লেগেও দীর্ঘ দিন ধরে কাশি হয়? এমন। কিন্তু ফুসফুসের ক্যানসারের ক্ষেত্রে দিনের পর দিন কোনও কারণ ছাড়াই কাশি হতে থাকে। ওষুধ খেয়েও কমে না। তিন সপ্তাহের বেশি কাশি থাকলে তাই অবিলম্বে যোগাযোগ করতে হবে চিকিৎসকের সঙ্গে।
২) স্বরভঙ্গ: অনেকের ক্ষেত্রেই ফুসফুসের ক্যানসারে দেখা যায় গলার স্বর ভেঙে যাওয়ার সমস্যা। ফুসফুসে ক্যানসার বাড়তে থাকলে তার প্রভাব গিয়ে পড়ে নানা স্তরে। যার কারণে গলার স্বর বদলে যায়। সব সময়েই গলা ভেঙে থাকে।
ফুসফুসের ক্যানসারের ক্ষেত্রে দিনের পর দিন কোনও কারণ ছাড়াই কাশি হতে থাকে। প্রতীকী ছবি।
৩) ক্লান্তি: যে কোনও ক্যানসারের অন্যতম প্রধান উপসর্গ ক্লান্তি। ফুসফুসের ক্যানসারের ক্ষেত্রে যেহেতু শ্বাস নিতে কষ্ট হয়, তাই এই সমস্যা আরও বাড়ে। রোগীর শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কিছুটা কমে যাওয়ারও আশঙ্কা থাকে। আর সে কারণেই ক্লান্তিও বাড়ে।
৪) রক্ত: ফুসফুসের ক্যানসারে অনেক সময় কাশির সঙ্গে রক্ত পড়ে। পাশাপাশি, শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। সমস্যা আরও বাড়ে ফুসফুসে ক্যানসার ছড়িয়ে পড়তে থাকলে। রোগের দাপটে বন্ধ হয়ে যেতে শুরু করে শ্বাস নেওয়ার পথটিও। ফলে যত দিন যায়, তত বাড়ে সমস্যা।
৫) গায়ে ব্যথা: ক্লান্তির মতোই যে কোনও ধরনের ক্যানসারের ক্ষেত্রেই গায়ের ব্যথা অন্যতম প্রধান উপসর্গ। ফুসফুসের ক্যানসারের ক্ষেত্রে বুক, পিঠ ও কাঁধের আশপাশে বেশি ব্যথা হয়।