ছবি: সংগৃহীত
দেশে তো বটেই, শহর এবং শহরতলিতে দাবানলের মতো ছড়াচ্ছে করোনা সংক্রমণ। করোনা স্ফীতির এই ধাপে বহু মানুষ করোনা সংক্রমিত হচ্ছেন। তবে আগের দু’বারের তুলনায় এই ধাপে হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজনীয়তা হ্রাস পেয়েছে অনেকাংশে। অধিকাংশ রোগী বাড়িতে নিভৃতবাসেই থাকছেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের নির্দেশ অনুযায়ী আক্রান্ত ব্যক্তির পাশাপাশি যে রোগীকে দেখভাল করছেন তাঁকেও অধিক সচেতনতা মেনে চলতে হবে। কী কী নিয়ম এবং সচেতনতা মেনে চলতে হবে তা সম্প্রতি জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
মাস্কের যথাযথ ব্যবহার
১) রোগীর পরিচর্যার দায়িত্বে যিনি রয়েছেন তাঁকে সব সময় ত্রিস্তরীয় মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। যদি রোগীর ঘরেই তিনি থাকেন সেক্ষেত্রে ব্যবহার করতে হবে এন-৯৫ মাস্ক।
২) মাস্ক ব্যবহার কালীন সময়ে বারে বারে মাস্ক স্পর্শ না করাই ভাল।
৩) কোনও কারণে মাস্ক ভিজে গেলে বা নোংরা হয়ে গেলে সেই মাস্ক বদলে ফেলতে হবে।
৪) মুখ থেকে মাস্ক খুলে নেওয়ার পর ভাল করে হাত ধুয়ে নিতে হবে।
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
স্যানিটাইজারের ব্যবহার
১) রোগীর খুব কাছাকাছি থেকে যদি কেউ পরিচর্যা করে থাকেন সেক্ষেত্রে বারে বারে স্যানিটাইজার ব্যবহার করা জরুরি।
২) রোগীর যেকোনও পরিচর্যার ক্ষেত্রেই হাতে গ্লাভস পরে নেওয়াটা আবশ্যিক।
৩) অ্যালকোহলের যুক্ত সাবান বা স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন।
৪) হাত ধোয়ার পর যেটি দিয়ে হাত মুছছেন, সেটি বারবার ব্যবহার না করাই ভাল।
আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখা
১) আক্রান্ত ব্যক্তির একেবারে সরাসরি সংস্পর্শে না যাওয়ার চেষ্টা করুন। একান্ত যেতে হলে ব্যবহার করুন মাস্ক এবং গ্লাভস্।
২) আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহার করা কোনও জিনিসপত্র ভুলেও ব্যবহার করবেন না।
৩) আক্রান্ত ব্যক্তির এঁটো থালা গ্লাভস্ না পরে স্পর্শ করবেন না।
৪) আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত জিনিস ধরার আগে ত্রিস্তরীয় মাস্ক এবং গ্লাভসের ব্যবহার আবশ্যিক।
রোগীর ব্যবহৃত জিনিস যত্রতত্র নয়
রোগীর ব্যবহৃত বোতল, টিস্যু, ডিসপোজেবল্ মাস্ক, ফলের খোসা ইত্যাদি ছাড়াও চিকিৎসায় ব্যবহৃত বিভিন্ন সামগ্রী যেমন সিরিঞ্জ, ওষুধের খাপ এই সবগুলিই একটি ব্যাগে করে নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলা উচিত। এই বর্জ্য অপসারণের কাজটি করার সময় যিনি করছেন তাঁর গ্লাভস এবং মাস্ক ব্যবহার করা আবশ্যিক।