৫০ পেরোলেই প্রস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে । ছবি: শাটারস্টক।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) তথ্য অনুযায়ী, ফুসফুসের ক্যানসারের পরেই পুরুষেরা প্রস্টেট ক্যানসার বা মূত্রশয়ের ক্যানসারে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হন। চিকিৎসকদের মতে, যে কোনও বয়সেই এই রোগ হতে পারে। তবে বয়স ৫০ পেরোলে পুরুষদের শরীরে এই অসুখের আশঙ্কা অনেকটা বেড়ে যায়। তাই ৫০ পেরোলেই ছেলেদের বাড়তি সতর্ক থাকতে হবে।
সাধারণত ‘পিএসএ টেস্ট’ বা ‘প্রস্টেট স্পেসিফিক অ্যান্টিজেন টেস্ট’-এর মাধ্যমে এই রোগ নির্ণয় করা হয়। সাধারণত ছেলেদের রক্তে ‘পিএসএ’-র মাত্রা ১ থেকে ৪-এর মধ্যেই থাকে। তবে রক্তে ‘পিএসএ’-র মাত্রা ৪-এর বেশি হলেই সতর্ক হতে হবে বইকি। ‘পিএসএ’-র মাত্রা ৪ ছাড়ানো শরীরে ক্যানসার বাসা বাঁধার লক্ষণ হতে পারে। তবে অনেক ক্ষেত্রেই ‘পিএসএ’ পরীক্ষাতেও প্রস্টেট ক্যানসার ধরা পরে না, সে ক্ষেত্রে ‘ডিজিটাল রেক্টাল টেস্ট’ করানো হয় রোগীদের । সব শেষে বায়োপ্সি করিয়ে ক্যানসারের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। প্রাথমিক পর্যায় এই রোগ ধরা পড়লে উন্নত চিকিৎসা পদ্ধতির মাধ্যমে রোগী সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন। তাই শরীরে প্রস্টেট ক্যানসার বাসা বাঁধার প্রাথমিক উপসর্গগুলি আগে থেকেই জেনে রাখা ভাল। কোন উপসর্গ দেখলে সতর্ক হবেন?
১) ঘন ঘন প্রস্রাব পাওয়া মানেই ডায়াবিটিস নয়, এই উপসর্গ হতেই পারে প্রস্টেট ক্যানসারের লক্ষণ। বার বার প্রস্রাবের বেগ আসা, প্রস্রাব পেলেও ঠিকমতো না হওয়া, প্রস্রাবের সময়ে জ্বালাভাব— হঠাৎই এই উপসর্গগুলি দেখলে তিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
২) প্রস্রাব কিংবা বীর্যের সঙ্গে রক্তপাতকে চিকিৎসার পরিভাষায় বলা হয় হেমাচুরিয়া। এই অসুখও মূত্রাশয়ের ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে। তাই সাবধান।
৩) চিকিৎসকদের মতে, পিঠের নীচের দিক, কোমর, নিতম্ব, কুঁচকি ও থাইয়ের ব্যথা প্রস্টেট ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে। হাড়ে তীব্র যন্ত্রণা কেবল বাতের লক্ষণ নয়, মূত্রাশয়ের ক্যানসারের উপসর্গ হতে পারে।
৪) কোনও রকম ডায়েট ও শরীরচর্চা ছাড়াই যদি ওজন কমতে শুরু করে, তা হলেও সতর্ক হতে পারে। ওজন কমা প্রস্টেট ক্যানসারের অন্যতম লক্ষণ হতে পারে।
৫) প্রস্টেট ক্যানসারে আক্রান্ত হলে যৌনজীবনেও প্রভাব পড়ে। এই রোগে আক্রান্ত হলে লিঙ্গোত্থানে সমস্যা হয়। তাই এই রকম কোনও উপসর্গ শরীরে দেখলেও সতর্ক হতে হবে।