যাঁদের শরীরে কোলেস্টেরল রয়েছে তাঁদের খাওয়াদাওয়ায় থাকে হাজার রকমের বিধিনিষেধ। ছবি: শাটারস্টক।
ঘরে ঘরে এখন কোলেস্টেরলের সমস্যা! অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, বাইরে খাওয়ার অভ্যাস, শরীরচর্চায় অনীহার মতো নানা কারণ এর জন্য দায়ী। এই রোগের হাত ধরেই বাড়ে হৃদ্রোগের ঝুঁকি। যাঁদের শরীরে কোলেস্টেরল রয়েছে তাঁদের খাওয়াদাওয়ায় থাকে হাজার রকমের বিধিনিষেধ। অতিরিক্ত স্নেহ পদার্থযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলাই দস্তুর। চিজ, মাখন, ঘি বাদ দিলেও রান্না থেকে তেল একেবারে বাদ দিয়ে দেওয়া সম্ভব হয় না। রোজ সেদ্ধ খাবার খেলে মুখে অরুচি আসে। কোলেস্টেরল থাকলে কী তেল খাবেন, তা ভেবে পান না অনেকেই। জেনে নিন এই রোগ থাকলে কোন তেল খাওয়া স্বাস্থ্যকর।
১) তিসির তেল: বাঙালির হেঁশেলে এই তেল খুব একটা দেখা যায় না। অথচ খাদ্যগুণের দিক থেকে এই তেল কিন্তু অতিরিক্ত কোলেস্টেরলের সমস্যায় ভোগা রোগীদের জন্য ভাল বিকল্প হতে পারে। এই তেল আলফা লিনোলেনিক অ্যাসিডের একটি ভাল উৎস। ক্যানসার প্রতিরোধ করতে এবং আর্থ্রাইটিসের উপসর্গ কমাতেও পুষ্টিবিদরা এই তেল খেতে বলেন। তবে এই তেল গরম করলে নষ্ট হয়ে যায় এর খাদ্যগুণ। স্যালাড খেতে যাঁরা ভালবাসেন, তাঁদের জন্য খুব ভাল একটি বিকল্প হতে পারে এই তেল।
কোলেস্টেরলের হাত ধরেই বাড়ে হৃদ্রোগের ঝুঁকি।
২) অলিভ অয়েল: এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। ভার্জিন অলিভ অয়েল নিষ্কাশনের সময় কোনও ধরনের রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হয় না। এতে ফেনল জাতীয় যৌগের সংখ্যা প্রায় তিরিশটি। এই সব যৌগ একই সঙ্গে প্রদাহনাশক এবং সংবহনতন্ত্রের স্বাস্থ্যরক্ষার জন্য এই তেল উপকারী। অন্যান্য তেলের তুলনায় এই তেলে মোনো-আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট বেশি থাকে, যা খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে। রোজের রান্না এই তেলে করা যেতেই পারে।
৩) সয়াবিন তেল: যাঁদের কোলেস্টেরল বেশি, তাঁরা সয়াবিন তেলেও রান্না করতে পারেন। মাছের মতোই সয়াবিন তেল ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের ভাল উৎস। হৃদ্যন্ত্রের স্বাস্থ্যরক্ষার জন্য ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ভাল। সমীক্ষা অনুযায়ী, প্রতি দিন দেড় চামচ সয়াবিন তেল শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায় না, বরং তা নিয়ন্ত্রণে রাখে। এ ছাড়া, সয়াবিন তেলে থাকা ফাইটোস্টেরল এলডিএল, কোলেস্টেরল কমাতেও সাহায্য করে।