ঘুমের অভাবেও মেজাজ সপ্তমে চড়তে পারে। ছবি: সংগৃহীত।
অফিসে কাজের চাপ থাক কিংবা না থাক, সারা ক্ষণ একটা ঘোর লেগে থাকে চোখে। বসে্র বকুনি শুনেও সেই ঘোর কাটতে চায় না। একঘেয়েমি ভাব মন এবং শরীর জুড়ে থাকে। কাজ করতে মাঝেমাঝেই ঝিমুনি আসে। তখন কাজের প্রতি মন উঠে যায়। দু’চোখ বুজে আসে। প্রায় রোজই হয় এমন। কফি খেয়ে, কয়েক পা হাঁটাহাঁটি করে এসে সাময়িক ভাবে এই অবস্থা সামাল দেওয়া যায়। তবে অফিসে এসেই যদি ঘুম পেয়ে যায়, তা হলে কাজেরও খানিকটা ক্ষতি হয়। অনেক সময় পর্যাপ্ত ঘুম না হলেও এমন হয়। যদি তেমনই হয়ে থাকে, তা হলে আরও বেশ কিছু লক্ষণ প্রকাশ পাবে। সেগুলি কী?
১) ঘুম ঠিক ঠাক না হলে স্মৃতি সঙ্গ দেয় না। মাঝেমাঝেই কি ভুলে যাচ্ছেন? তা হলে হতে পারে ঘুমের ঘাটতি রয়েছে। ঘুম পর্যাপ্ত না হলে তার নানা প্রভাব পড়ে শরীরে।
২) অফিসের ডেস্কের পাশেই জলের বোতলটি রেখে দিয়েছেন। কাজের ফাঁকে মাঝেমাঝেই জল খাচ্ছেন। তবু তেষ্টা মিটছে না? শরীর পর্যাপ্ত বিশ্রাম না পেলে এমনটা হতে পারে।
৩) জ্বর, সর্দি-কাশি কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না? ঘুমের ঘাটতি শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে। প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া মানেই রোগবালাই জাঁকিয়ে বসে শরীরে। এমন হলে অতি অবশ্যই এক বার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা জরুরি।
৪) কাজের মাঝে কফি খাওয়ার অভ্যাস অনেকেরই। এতে সাময়িক ভাবে চাঙ্গা থাকে শরীর, মন। কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে এর স্বাস্থ্যকর প্রভাব পড়ে না। অত্যধিক মাত্রায় ক্যাফিন ঘুমের ঘাটতি তৈরি করে। মেজাজ সপ্তমে চড়ে থাকে। সারা ক্ষণই মেজাজ বিগড়ে থাকলে ঘুম না হওয়ার দিকেই ইঙ্গিত দেয়।