কোন ডায়েট মেনে চললে আলিয়ার মতো ছিপছিপে শরীর পেতে পারেন? ছবি: সংগৃহীত।
গত বছর নভেম্বর মাসে মা হয়েছেন আলিয়া ভট্ট। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় অনেকটাই ওজন বেড়ে গিয়েছিল নায়িকার। অথচ মেয়ের জন্মের কয়েক দিনের মাথায় একেবারে আগের চেহারায় ধরা দিয়েছিলেন আলিয়া। এত কম সময়ে ছিপছিপে হয়ে অনেককেই অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিলেন নায়িকা। শরীরে নতুন প্রাণের সঞ্চার হওয়ার সময় থেকেই বদলে যেতে থাকে অনেক কিছু। মানসিক বদলের পাশাপাশি, বাহ্যিক চেহারাতেও আমূল পরিবর্তন আসে। ওজন বেড়ে যায়। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় বৃদ্ধি পাওয়া ওজন সহজে ঝরানো যায় না। তবে শরীরচর্চার পাশাপাশি, আলিয়া নিজের ডায়েটের উপর কড়া নজর রেখেছিলেন। ছিপছিপে শরীর ফিরে পেতে কেমন ছিল আলিয়ার ডায়েট প্ল্যান?
এক বারে অনেকখানি খাবার খেতে পছন্দ করেন না অভিনেত্রী। একাধিক বার অল্প অল্প করে খাবার খান আলিয়া।
সকাল ৮ টা: এক কাপ ভেষজ চা কিংবা চিনি ছাড়া কালো কফি দিয়ে দিন শুরু করেন আলিয়া। প্রাতরাশে অনেক রকম সব্জি দেওয়া চিড়ের পোলাও কিংবা ডিমের সাদা অংশ দিয়ে বানানো স্যান্ডউইচ খান অভিনেত্রী।
সকাল ১১ টা: বেশি ক্ষণ খালি পেটে থাকেন না আলিয়া। প্রাতরাশের পর ১১ টার সময় এক বাটি ফ্রুট স্যালাড কিংবা সাম্বার দিয়ে একটা ইডলি খান তিনি।
দুপুর ২ টো: দুপুরে আলিয়া খান একটা রুটি সঙ্গে এক বাটি সব্জি, এক বাটি ডাল আর দই খান অভিনেত্রী। এ ছাড়া মাঝে মাঝে দুপুরে তিনি সব্জি দিয়ে তৈরি কিনুয়া আর সঙ্গে গ্রিলড চিকেন খান।
বিকেল ৫ টা: বিকেলে হালকা খিদে পেলে আলিয়া চিনি ছাড়া ভেষজ চা খান। সঙ্গে থাকে ১ টি ইডলি আর এক বাটি সাম্বার ডাল।
রাত ৮ টা: রাতের খাবার ৮ টার মধ্যেই খেয়ে নেন অভিনেত্রী। খাবারে থাকে ১ টি রুটি, ১ বাটি সব্জি, ১ বাটি ডাল। মাঝে মাঝে আলিয়া গ্রিলড চিকেন স্যালাডও খান রাতে।
সন্তান জন্মের পর কাজ কমিয়ে দেবেন আলিয়া, অনেকেই এমনটা মনে করেছিলেন। ২০২৪ এ আলিয়ার হাতে একাধিক ছবি। ফারহান আখতার পরিচালিত ‘জি লে জ়ারা’, সঞ্জয় লীলা ভনসালির পরিচালিত ‘জিগড়া’ ছাড়াও অভিনেত্রীর হাতে রয়েছে একাধিক ছবি। তাই নিজের ফিটনেসের সঙ্গে আলিয়া কোনও রকম আপোস করতে রাজি নন। ডায়েটের পাশাপাশি যোগাসন, ভারী ওজন নিয়ে শরীরচর্চা, পিলাটেস নিয়ম করে করেন অভিনেত্রী।