ভিটামিন ডি-র অভাবে কোন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে? ছবি: সংগৃহীত।
শরীরের জন্য ভিটামিন ডি কতটা জরুরি তা বলা বাহুল্য। হাড়ের যত্ন নেওয়া থেকে প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি— ভিটামিন ডি অনবদ্য ভূমিকা পালন করে। ভিটামিন ডি শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকলে অনেক রোগবালাই থেকে দূরে থাকা যায়। তেমনই ভিটামিন ডি-এর অভাবে বাড়ে ক্যানসারের ঝুঁকিও। সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় উঠে এসেছে এমন একটি তথ্য। তবে গবেষকেরা জানাচ্ছেন, ভিটামিন ডি-র অভাবের সঙ্গে ক্যানসারের সরাসরি কোনও যোগ নেই। শরীরে যদি এই ভিটামিনের অভাব দেখা দেয়, তাহলে অনেক সময় ক্যানসার হওয়ার একটা ঝুঁকি থেকে যায়। পাশাপাশি, ভিটামিন ডি-এর যদি কোনও অভাব না ঘটে, তাহলে ক্যানসার ছাড়াও আরও অনেক রোগ থেকে দূরে থাকা সম্ভব হয়। তাই ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার প্রতি বাড়তি নজর দেওয়ার কথা বলেন চিকিৎসকেরা।
ভিটামিন ডি-র অভাবে যে ধরনের ক্যানসারের ঝুঁকি থাকে তার মধ্যে অন্যতম হল স্তন ক্যানসার। এ ছাড়াও অন্ত্রের ক্যানসারের ঝুঁকিও থাকে ভিটামিন ডি-র অভাবে। এই ভিটামিন ক্যানসার কোষের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করে। মারণরোগ থেকে দূরে থাকতে ভিটামিন ডি শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকা জরুরি। ভিটামিন ডি-র গুণে আর কোন কোন রোগের হাত থেকে নিষ্কৃতি মেলে?
১) স্নায়ুর কার্যক্ষমতা বজায় রাখতে সাহায্য করে এই ভিটামিন। বার্ধক্যে স্নায়ুর রোগের উপসর্গ কমাতে এটি বেশ কার্যকর। মস্তিষ্কে কর্মক্ষমতা সচল রাখতেও এই ভিটামিনের জুড়ি মেলা ভার।
শরীরের জন্য ভিটামিন ডি কতটা জরুরি তা বলা বাহুল্য। ছবি: সংগৃহীত।
২) বৃদ্ধাবস্থায় হাড়ের ক্ষয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি সমস্যা। হাড়ে উপস্থিত অন্যতম প্রধান খনিজ পদার্থ হল ক্যালসিয়াম। সুতরাং হাড় মজবুত রাখতে এবং ক্ষয় রোধ করতে ভিটামিন ডি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
৩) দেহের প্রোটিনকে রক্ষা করতে ভিটামিন ডি দারুন উপযোগী, তাই এটি দেহের পেশির কোষগুলিকে সুস্থ রাখে। এর ফলে বয়সকালে ওজন কমে যাওয়ার আশঙ্কা কমে এবং শরীর ভাল থাকে।
৪) ভিটামিন ডি অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের খুব ভাল একটি উৎস। এই অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট জাতীয় পদার্থ শরীরকে নানা ধরনের ক্ষতিকর বিক্রিয়া থেকে রক্ষা করে। ফলে প্রোটিন, হরমোন, ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ডিএনএ-র মতো উপাদানগুলি রক্ষা পায়।