কী ভাবে যত্ন নেবেন কানের? ছবি: সংগৃহীত।
বয়স বাড়লে শ্রবণশক্তি কমতে থাকে। খেয়াল রাখলে দেখা যাবে বাড়ির বয়স্ক সদস্যেদের অনেক সময় কানে শুনতে সমস্যা হয়। একই কথা বার বার বলতে হয়। প্রয়োজনে একটু চেঁচাতেও হয়। বয়সের চাকা যত সামনের দিকে এগোতে থাকে, শরীরের প্রতিটি অঙ্গেরও কার্যক্ষমতা কমতে থাকে। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, আমেরিকায় ৬০ থেকে ৬৯ বছর বয়সি মানুষদের মধ্যে প্রায় ১৫ শতাংশ শ্রবণ সংক্রান্ত সমস্যায় ভোগেন। ভারতেও কিন্তু বয়স্কদের মধ্যে এই সমস্যার হার কম নয়। তবে ইয়ারফোন, মোবাইলের অত্যধিক ব্যবহারে অবশ্য ইদানীং কম বয়সিদের মধ্যেও শ্রবণজনিত বেশ কিছু সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তাই কান ভাল রাখতে কয়েকটি অভ্যাস এড়িয়ে চলা জরুরি।
১) কানে তেল দেওয়া ভাল, অনেকেই তা বিশ্বাস করেন। কিন্তু চিকিৎসকদের মতে, এই অভ্যাসের ফলে শ্রবণযন্ত্রটি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। অনেকে আবার কানের ময়লা পরিষ্কার করার জন্যও কাঠি, বাড্স বা সেফটি পিনও ব্যবহার করেন। এই সবগুলি থেকেই কিন্তু কানের ক্ষতি হতে পারে।
২) কান ভাল রাখতে গেলে সব চেয়ে আগে যা করতে হবে তা হল পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা। নিজের ব্যবহার করা ইয়ার প্লাগ, হেডফোন অন্য কাউকে ব্যবহার করতে না দেওয়াই ভাল। উল্টো দিক থেকে আবার অন্যের ব্যবহার করা কোনও জিনিসও কিন্তু ব্যবহার করা যাবে না।
৩) স্নান করতে গিয়ে বা পুলে সাঁতার কাটার সময়ে অসাবধানে কানের মধ্যে জল ঢুকে যেতেই পারে। স্নান শেষে তৎক্ষণাৎ কান থেকে জল বার করতে না পারলে কানের ভিতর জল জমে সংক্রমণ হতে পারে। তাই কান যাতে সব সময়ে শুকনো থাকে, সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।
সারা ক্ষণ কানে হেডফোন দিয়ে গান শোনার অভ্যাস কানের ক্ষতি করে। ছবি: সংগৃহীত।
৪) সারা ক্ষণ কানে হেডফোন দিয়ে গান শোনার অভ্যাসও কিন্তু কানের ক্ষতি করে। এমনিতে যে কোনও আওয়াজের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৬৪ ডেসিবেলের মাত্রা বেঁধে দেওয়া থাকলেও হেডফোনের তেমন কোনও বিধি-নিষেধ নেই। কিন্তু তীক্ষ্ম যে কোনও আওয়াজই যে কানের ক্ষতি করে, তেমনটাই মত চিকিৎসকেদের।