কোলেস্টেরল কমায় কোন ফলগুলি? ছবি: সংগৃহীত।
শুধু বয়স বাড়লে নয়, কোলেস্টেরলের মাত্রা যে কোনও বয়সেই বৃদ্ধি পেতে পারে। বাইরের খাবার খাওয়ার প্রবণতা আর শরীরচর্চার অভাব কোলেস্টেরলের অন্যতম নেপথ্য কারণ। কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি বাড়তে দেওয়া যাবে না। কারণ কোলেস্টেরলের হাত ধরেই ঝুঁকি বাড়ে হৃদ্রোগের। হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা কমাতে কোলেস্টেরলের মাত্রা বশে রাখা জরুরি। কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে খাওয়াদাওয়াতেও জোর দিতে হবে। নিয়ম মেনে খাবার না খেলে কোলেস্টেরল বশে রাখা সহজ নয়। কিছু ফল কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। শীতে ভরসা রাখতে পারেন সেগুলির উপর।
খেজুর
খেজুর রক্তে খারাপ কোলেস্টোরলের মাত্রা কমিয়ে হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমায়। খেজুরে সোডিয়ামের মাত্রা কম এবং পটাশিয়ামের মাত্রা বেশি থাকায় হৃদ্যন্ত্রের পেশির সক্রিয়তা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে এই ফল। রোজকার ডায়েটে খেজুর রাখলে রক্তনালিকাগুলিতে ফ্যাট জমতে বাধা দেয়। এর ফলে সারা দেহে রক্ত সঞ্চালন ভাল হয়। রক্ত জমাট বাঁধতে পারে না। তাই হার্টের অসুখ, কোলেস্টেরল ও উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে পুষ্টিবিদেরা ডায়েটে খেজুর রাখার পরামর্শ দেন।
অ্যাভোকাডো
রোজের খাদ্যাতালিকায় অ্যাভোকাডো রাখলে নিয়ন্ত্রণে থাকবে কোলেস্টেরল। এই ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরি। উচ্চ ফাইবারে সমৃদ্ধ অ্যাভোকাডো কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। অ্যাভোকাডোতে রয়েছে ক্যারোটিনয়েডের মতো একাধিক খনিজ উপাদান। এ ছাড়াও রয়েছে ভিটামিন সি এবং ই। গবেষণায় উঠে এসেছে, প্রতি দিন একটি করে অ্যাভোকাডো খাওয়ার অভ্যাসে কমে যায় কোলেস্টেরলের সমস্যা। খারাপ কোলেস্টেরল এইচডিএল-এর মাত্রা কমাতেও অ্যাভোকাডো পারদর্শী।
ফাইবারে ভরা পেয়ারা কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। ছবি: সংগৃহীত।
পেয়ারা
পেয়ারার স্বাস্থ্যগুণ নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। পেয়ারা আছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। যা কোলেস্টেরল আটকানোর সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। ফাইবারে ভরা পেয়ারা কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। সেই সঙ্গে শরীরে ভাল কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়াতেও এর জুড়ি মেলা ভার।